সর্দি, কাশি, হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট রোগে বাসক পাতার উপকারিতা ঃ ডাক্তার মো আবু তোহা
বাসক পাতা বাংলাদেশ সহ ভারতীয় উপমহাদেশে বিভিন্ন স্থানে প্রচুর পরিমাণ দেখা যায়। ইউনানী আয়ুর্বেদিক ও হোমিও চিকিৎসায় এর পাতা বিশেষভাবে বহু কাল ধরে ব্যবহৃত হয়। বাসকের বৈজ্ঞানিক নাম Aadha Toda vasica.বাসক পাতা থেকে হোমিওপ্যাথিক মাদার টিংচার ঔষধ জাস্টিসিয়া তৈরি হয়। সর্দি কাশি গলা ব্যাথা হাঁপানি শ্বাসকষ্ট এবং দাঁতের চিকিৎসায় বাসক পাতার ব্যবহার প্রচুর। এর স্থানীয় ব্যবহারে পাইরিয়া এবং মাড়ি থেকে রক্তপাতের ক্ষেত্রে উপশম হয়। দাঁতের ব্যথা উপশম করে, দীর্ঘস্থায়ী নিরাময় করে এবং কাম উদ্দীপক হিসেবে ব্যবহার হয়। সকল প্রকার কাশিতে বিশেষ উপকারী। শিশুদের হুপিং কাশিতে ------- কাশতে কাশতে শিশুর দম আটকে যায়, শরীর যেন শক্ত হয়ে আছে, শরীর নিলবর্ণ হয়ে যায় সাথে বমি বমি ভাব লক্ষণে ইহা উপকারী। বুক যেন শ্লেষ্মায় পূর্ণ, গলায় ঘরঘর শব্দ, কিন্তু কাশলে উঠেনা বা খুব কম ওঠে এই ধরনের লক্ষণে জাস্টিসিয়া খুব উপকারী। ইহার শুকনো পাতা হুকার কল কে সেজে ধুমপান করলে শ্বাসকষ্ট নিরাময় হয়। ইহার পাতা দিয়ে পানীয় জল সিদ্ধ করলে রোগ জীবাণু নাশ হয়। রক্তস্বল্পতা এবং সাথে যদি শোথ ভাব থাকে তাহলে বাসক পাতা খুবই উপকারী। বাসক ছাল এবং পাতা ভালোভাবে সিদ্ধ করে উহার কাথ দিয়ে সেক দিলে সকল ধরনের বাতের ব্যথা ও শোথ রোগের উপকার হয়। ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসায় বাসক পাতার ছাল ও পাতা খুবই উপকারী। বাসক পাতার রসে ডায়রিয়া এবং পায়খানার সাথে রক্ত পড়া দোষ দূর হয়। সকল ধরনের জ্বরে বাসক পাতা উপকারী। নিউমোনিয়া এবং যক্ষা রোগের প্রথম অবস্থায় রক্ত, পিত্ত, জ্বর, স্বরভঙ্গ ইনফ্লুয়েঞ্জার পরবর্তী কাশি এবং প্রতিবছর শীতকালে কাশি ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাসক পাতা উপকারী। অত্যন্ত উপকারী এই বাসক পাতা দিয়ে হোমিও মতে মাদার টিংচার ঔষধ তৈরি হয়। এছাড়া বাসক পাতা দিয়ে ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মতে ঔষধ তৈরি হয়। বাসক পাতা দিয়ে তৈরি ঔষধটি মধু দিয়ে সেবন করলে উপকার একটু বেশি হতে পারে। সকল ঔষধ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা জরুরী।
 
                 
                                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                .jpg) 
                                 
                                 
                                 
        


