বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়া একাডেমিক ও নীতি কূটনীতি প্লাটফর্মও শক্তিশালী করা উচিৎ ---- প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডক্টর আনিসুজ্জামান চৌধুরী

৩০ অক্টোবর, ২০২৫। বৃহস্পতিবার
দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জ্ঞান উদ্ভাবন ও নীতি-কূটনীতি- ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী
পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সায়েন্সেস (IAS)- এ আজ শুরু হয়েছে IAS-SANPA International Conference 2025. এ বছরের মূল প্রতিপাদ্য “Local Realities and Regional Futures: Transforming Public Administration & Management in South Asia”
উদ্বোধনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় রিয়াজউদ্দিন অডিটোরিয়াম, সিইএমবিতে, সভাপতিত্ব করেন ড. সিদরা ইরফান। প্রথমেই পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত ও জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। এরপর স্বাগত ভাষণ দেন প্রফেসর ড. কাশিফ রাঠোর, পরিচালক, IAS, পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়।
SANPA–এর প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. আখলাকে হক তাঁর বক্তৃতায় দক্ষিণ এশিয়ায় প্রশাসন চর্চার জ্ঞান বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। সম্মেলনের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলী।
পাকিস্তান সরকারের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও বিশেষ উদ্যোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী প্রফেসর আহসান ইকবাল প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। তিনি উন্নয়ন নীতি, প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার ভৌগোলিক নৈকট্যকে কৌশলগত অংশীদারত্বে রূপান্তরের সময় এখনই।
সম্মেলনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিলেন প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং এমেরিটাস অধ্যাপক, ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়া। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জ্ঞানউদ্ভাবন, নীতি কূটনীতি এবং সামাজিক আস্থা পুনর্গঠন। প্রশাসন ও উন্নয়ন শুধু কাঠামোগত পরিবর্তনের বিষয় নয়; এটি মানবিক মূল্যবোধ, ন্যায়বোধ এবং আধুনিক জ্ঞানব্যবস্থার সমন্বয়। তিনি আরও জোর দিয়ে উল্লেখ করেন- আঞ্চলিক নীতি সমন্বয় ও গবেষণা নির্ভর সিদ্ধান্তগ্রহণ অপরিহার্য, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে রাষ্ট্রব্যবস্থা হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রযুক্তি সমন্বিত। তরুণ প্রজন্ম ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে জ্ঞান অংশীদারত্ব ও পাবলিক ইনোভেশন ল্যাবে যুক্ত করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ–পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়া একাডেমিক ও নীতি কূটনীতি প্ল্যাটফর্মও শক্তিশালী করা উচিত। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহাসিক বন্ধন ও আঞ্চলিক মানবসম্পদের শক্তি তুলে ধরে বলেন, যেখানে রাজনৈতিক সীমা আমাদের আলাদা করে, জ্ঞান ও উন্নয়নের লক্ষ্য সেখানে আমাদের এক কাতারে দাঁড় করায়।
অনুষ্ঠানে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের মাননীয় হাইকমিশনার, পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ, নীতি-নির্ধারক, গবেষক ও আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারীরা উপস্থিত ছিলেন। দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ প্রশাসনবিদ, নীতিনির্ধারক ও গবেষকগণ অংশ নিচ্ছেন।



