'মাশরুম চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে বাংলাদেশে দারিদ্র্য থাকবে না'
‘মাশরুমের চাষ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না। তাছাড়া তিন-পাঁচ বছরের মধ্যে আমরা মাশরুম বিদেশেও রফতানি করতে পারব।’ রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে গতকাল মাশরুম চাষের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ বিষয়ক জাতীয় সেমিনারে এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘মাশরুম খুবই সম্ভাবনাময়। এটি খুবই পুষ্টিকর, যাতে প্রোটিন আছে ২২ ভাগের মতো। চালে যেখানে শতকরা ৮ ভাগ, গমে প্রায় ১২ ভাগ প্রোটিন রয়েছে। এছাড়া মাশরুম অর্থকরী ফসল।’ এ সময় মন্ত্রী দেশের প্রত্যেক উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের ২০০-৩০০ মাশরুম উদ্যোক্তা তৈরির জন্য নির্দেশ দেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাশরুম চাষের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্পের পরিচালক আখতার জাহান কাঁকন। তিনি জানান, মাশরুম চাষ সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করতে পারলে তা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে। দেশে বর্তমানে ৪০-৪১ হাজার টন মাশরুম প্রতি বছর উৎপাদন হচ্ছে, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ অনেক দেশেই মাশরুম রফতানির সুযোগ রয়েছে। শুকনা ওয়েসটার মাশরুমের দুবাই, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে অনেক চাহিদা আছে। শিক্ষিত বেকারদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে পারলে মাশরুমের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার তৈরি হবে।
সেমিনারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে গেস্ট অব অনার হিসেবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম, বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার বক্তব্য দেন। আলোচক হিসেবে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামাল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক নিরদ চন্দ্র সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আহমা/চাহ