দুর্যোগ মন্ত্রীর ব্যানারে ঠাঁই পাইনি বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে নানা ধরনের ব্যানার ফেস্টুন সেজেছে সচিবালয়ের সামনের রাস্তা৷ দুর্যোগে সচেতনতার নানা বিষয় এবং ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো এলাকা৷ বড় বড় ব্যানার আর ফেস্টুনে সেটে দেওয়া হয়েছে দুর্যোগ মন্ত্রী মহিববুর রহমানের ছবিও৷ তবে তার এই ফেস্টুনের কোথাও জায়গা হয়নি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের৷
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সচিবালয়ের সামনের গেট এবং এর আশেপাশের এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে৷
সরেজমিন দেখা যায়, পৃথক দু একটি ব্যানারে বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ছবি থাকলেও দুর্যোগ মন্ত্রীর ব্যানারে তাদের কেউ জায়গা পায়নি৷ এতে একদিকে যেমন বঙ্গবন্ধু প্রেমী সাধারণ মানুষের মনে জনরোষ তৈরি হচ্ছে তেমনি ব্যানার পোস্টারে অপ্রাসঙ্গিক চর্চা হচ্ছে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা৷
এর আগে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শামসুন নাহার ভূঁইয়া এমপি বলেছিলেন,
যারা নিজেদের ব্যানার ফেস্টুনে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র ছবি ব্যাবহার করেনা তারা কখনো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী হতে পারে না৷
ব্যানার ফেস্টুন বঙ্গবন্ধু এবং মন্ত্রীকে উপেক্ষা করার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন প্রয়াত আশরাফুল ইসলাম৷ সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছিল ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক বিলবোর্ড, পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে; যাতে সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ছবি থাকছে। অথচ সেখানে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি খুব ছোট আকারে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এটা দেশের সাধারণ মানুষের কাছে দৃষ্টিকটু। সুতরাং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যতীত অন্য কারো ছবি থাকলে সেসব বিলবোর্ড, পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন সরিয়ে ফেলার জন্য সারা বাংলাদেশে আপনার সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশ প্রদানের আহ্বান জানানো হলো।
এই নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছিলেন, ‘দলীয় ব্যানার-বিলবোর্ড যেন কম ব্যবহার হয়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। নিজেদের ছবি যখন নেতাকর্মীরা ব্যবহার করতে পারবে না তখন তারা ব্যানার-বিলবোর্ড বানাতে নিরুৎসাহিত হবে।’