পায়রায় সোলার পাওয়ার জেনারেশন টেন্ডারে অনিয়মের তদন্তের নির্দেশ নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের
পায়রা সমুদ্র বন্দরে সোলার পাওয়ার জেনারেশন টেন্ডারের বিষয়ে একটি অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় বরাবর অভিযোগ পাওয়ার পরে মন্ত্রনালেয়র উপসচিব সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত পত্র থেকে জানা যায়, বিষয়টি তদন্তের নির্দেশনা দিয়ে ১৫ দিনের সময় দেয়া হয়েছে। জানা যায়, পায়রা সমুদ্র বন্দর বাংলাদেশের তিন নম্বর সমুদ্র বন্দর হিসেবে পরিচিত। বন্দরের বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কাজ চলমান। সেই কাজের অংশ হিসেবে সোলার পাওয়ার জেনারেশন বিষয়ক একটি টেন্ডার আহ্বান করে বন্দর কতৃপক্ষ।যার স্মারক নম্বর ছিলো ১৮.২১.৭৮৬৬.০০০.০৭.০০১.২৫/০১। সূত্র ধরে জানা যায়, টেন্ডারের সিকিউরিটি মূল্য ত্রিশ লাখ টাকা ও দরপত্র মূল্য ছিল বারো কোটি পচাত্তর লাখ টাকা। কিন্তু ১৫/১০/২৫ তারিখে টেন্ডার উন্মুক্ত করে চার কোটি ছেচল্লিশ লাখ টাকায় সর্ব নিম্ন দরদাতা করা হয়েছে রহিম আফরোজ নামক একটি প্রতিষ্টানকে। জানা যায়, উক্ত কাজের গণপূর্ত সিডিউল রেট ছিল ১১ কোটি ১১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা। এস্টিমেট রেটের এক তৃতীয় অংশ মূল্যে রহিম আফরোজ কে সর্বনিম্ন দরদাতা করানো হয় যাহা পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহায়তা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের তথ্য থেকে জানা যায় ১২ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকার কাজ কিভাবে চার লক্ষ ছেচল্লিশ হাজার টাকায় করা সম্ভব হবে এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ জমা পড়ার পর নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের নির্দেশনা মোতাবেক বিষয়টি তদন্ত করার জন্য ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে প্রতিবেদন প্রদান করার জন্য পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবর একটি পত্র প্রদান করা হয় ২০ শে অক্টোবর ২০২৫। পত্রটির অনুলিপি প্রদান করা হয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিব ( পাবক)। পায়রায় সোলার পাওয়ার জেনারেশন টেন্ডারের বিষয়ে অনিয়ম কে কেন্দ্র করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের লোকজনের মধ্যে আলোচনা সমালোচনার কথা শোনা যাচ্ছে।
 
                 
                                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                .jpg) 
                                 
                                 
                                 
        


