ডেঙ্গু রোগীর বাসায় গিয়ে মশা নিধন করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাদের থেকে ঠিকানা নিয়ে ওই রোগীর বাসায় গিয়ে মশা নিধন কর্মসূচি শুরু করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
এ কর্মসূচি প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, সেখান থেকে রোগীদের ঠিকানা নিয়ে আমরা বাসায় গিয়ে দেখি কোথাও এডিস মশার উৎস আছে কি না। যদি থাকে তাহলে আমরা রোগীর বাড়ির আশপাশে বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করি। রোগীসহ এলাকাবাসীকে সতর্ক করে দিয়েও আসছি। কারণ মশা কোনো সীমানা মানে না। সেজন্য ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের সচেতন হতে হবে।’
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকাল ১০টায় দক্ষিণ সিটির ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বলধা গার্ডেন এলাকায় এডিস মশা নিধনে তিন দিনব্যাপী চিরুনি অভিযানের কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মশা নিধনে দুই সিটি করপোরেশন একসঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে পারে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মো. মিজানুর রহমান বলেন, উত্তর ও দক্ষিণ দুটি আলাদা সিটি করপোরেশন। প্রশাসনিক কার্যক্রমও আলাদা। তবে এডিস মশা নিধনে দুই সিটি করপোরেশন সমানভাবে কাজ করছে। দক্ষিণ সিটি যেসব কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, সেগুলো উত্তর সিটি করপোরেশনকে জানিয়ে দেবো। এজন্য পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে এডিস মশা নিধনে চিরুনি অভিযান চালানো হচ্ছে এবং লিফলেট বিতরণ করে মানুষকে সচেতন করছি।
দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা নগরবাসীকে বলতে চাই, কাজ শেষে পানি যেন একদিনের বেশি জমিয়ে না রাখা হয়। প্রতিদিনের পানি প্রতিদিন পরিষ্কার করলে এডিস মশার লার্ভা বংশবিস্তার করতে পারে না। এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। এছাড়া ডেঙ্গু প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
সাধারণত প্রতি ওয়ার্ডে এডিস মশা নিধনে সকালে সাতজন ও বিকেলে ছয়জন মশককর্মী কাজ করে থাকেন। তবে বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা ওয়ার্ডগুলোতে ১৩ জন মশককর্মী সকালে লার্ভিসাইডিং এবং ১৩ জন মশককর্মী বিকেলে অ্যাডাল্টিসাইডিং পরিচালনা করবেন।
চিরুনি অভিযানের উদ্বোধনকালে অন্যদের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, অঞ্চল-৫-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সারওয়ার হাসান আলো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমকে
 
                 
                                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                .jpg) 
                                 
                                 
                                 
        















