নারায়ণগঞ্জের তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের সাথে যোগাযোগের অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিমল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে গোপনে ভিন্ন মোবাইল সিম ব্যবহার করে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের সাথে গোপনে যোগাযোগ রাখার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫০ জন ছাত্রছাত্রী ইতিমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছেন যার অনুলিপি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা দপ্তর ও দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ছাত্রদের টাকায় কেনা প্রাইভেটকারটি তিনি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কাজে ব্যবহার করেন। এই গাড়ির তেল খরচ ও সকল ধরনের মেরামত খরচ ছাত্রদের থেকে নেয়া হয়। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে একাদশ শ্রেণির ভর্তির সময় বিনা রশিদে নবীন বরণ অনুষ্ঠানের কথা বলে টাকা নিয়ে নবীন বরণ অনুষ্ঠান করেন নাই। তিনি শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের সাথে প্রায়ই দুর্ব্যবহার ও অশোভন আচরণ করেন এর ফলে শিক্ষকদের মাঝে হতাশা ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। হিসাব শাখা থেকে জানা গেছে বিভিন্ন পরীক্ষা ভর্তি ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান খরচের মধ্যে গত দুই বছরে আপ্যায়ন খরচের ভুয়া বিল ভাউসার দেখানো হয়েছে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা এইচএসসি আইসিটি পরীক্ষার প্রাকটিক্যাল এবং অ্যাসাইনমেন্ট এর নামে জনাব আব্দুল আউয়ালের নেতৃত্বে ও গোপনে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলা হয়। প্রশাসনিক ভবনের পেছনে কলেজের বিশাল জমি ছিল ২০২৩ সালে সেই জমির বিরাট অংশ তৎকালীন আওয়ামী লীগের জোকসাজোস করে আব্দুল আউয়াল এবং প্রিন্সিপাল প্রায় ৫০ শতাংশ জমি ভূমি দস্যদের হাতে গোপনে তুলে দিয়ে ৫০ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন। কলেজের ছাত্রীরা এবং শিক্ষিকেরা যৌন হয়রানির শিকার হইলেও প্রিন্সিপাল তেমন কোন ব্যবস্থা নেন না। ২০২৩ সালে কোন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় নাই। ২০২৪ সালের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ছাত্র-ছাত্রীদের খুবই নিম্নমানের পুরস্কার দেয়া হয়েছে পুরস্কার বাবদ সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে কিন্তু আপ্যায়ন ও অন্যান্য খরচ বাবদ ভুয়া বিল ভাউচার করে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে কিন্তু ছাত্রদের কোন আপ্যায়ন করানো হয়নি। তিনি বিভিন্ন পরীক্ষা ভর্তি এবং অন্যান্য কাজের সম্মানী শিক্ষকদের মাঝে যথাযথ বন্টন করেন না এভাবে শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। জানা গেছে সরকারি তুলারাম কলেজে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় টিউটোরিয়াল সেন্টার আছে সেখানে কলেজের শিক্ষকদের বাদ দিয়ে অন্যদের দিয়ে কাজ করানো হয়। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় নকল সরবরাহ করে নকলের উৎসব করে ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষা দেন অথচ প্রিন্সিপাল এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেন না অর্থের বিনিময়ে ছাত্রদের পাশ করানোর অভিযোগ আছে। কলেজের পেছনের মাঠে বালুভরাটার নামে সারা বছর টাকা লুটপাট করা হয়। জানা গেছে প্রিন্সিপালের নামে গুলশানে একটি ফ্লাট আছে প্রিন্সিপাল তার ছোট ভাইয়ের নামে নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বোস কেবিন এর মালিকানা কিনেছেন। ছেলের বউয়ের জন্য গাড়ি কিনেছেন অধ্যক্ষ নিজের ও স্ত্রীর নামে লক্ষ লক্ষ টাকার সঞ্চয় পত্র কিনেছেন।অভিযোগ পাওয়া গেছে কলকাতায় সম্পদ কেনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি প্রিন্সিপালের এত সম্পদের রহস্য কোথায়। জানা গেছে প্রিন্সিপাল প্রিন্সিপাল বিমল চন্দ্র দাস বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়ে ২০২৩ সাল থেকে এই কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্বে আছেন শিক্ষার্থীদের দাবি বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনার সুপারিশে তিনি নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন এবং তারা এই প্রিন্সিপাল ফ্যাসিস্টের দোসর হিসেবে নিয়োগ লাভ করেছেন। শিক্ষার্থীরা ফ্যাসিস্টের হাত থেকে সরকারি তোলা রাম কলেজকে মুক্ত করার জোর দাবি জানিয়েছেন।


.jpg)


