গাছের যত্ন নিলে পরীক্ষায় অতিরিক্ত ৫০ নম্বর !
বিদ্যালয় থেকে বিতরণ করা গাছ বাড়িতে নিয়ে রোপণ করে যত্ন নিলে বার্ষিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত ৫০ নম্বর পাবে শিক্ষার্থীরা। আর যত্ন না করলে মোট নম্বর থেকে ৫০ নম্বর কেটে নেওয়া হবে। পরিবেশ সুরক্ষায় গাছের প্রতি মমতা বাড়াতে ব্যতিক্রম এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ধলেশ্বর গ্রামের আকছির এম চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা, প্রকৃতির সৌন্দর্যবর্ধন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং সবুজ পরিবেশ গড়তে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্লাবের পক্ষ থেকে শুক্রবার বিকেলে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন জাতের ফলজ গাছের চারা বিতরণের সময় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা জানিয়ে দেওয়া হয়।
ধলেশ্বর গ্রামের রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার চত্বরে অবস্থিত আকছির এম চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীকে এসব চারা দিয়ে যত্ন নিতে বলা হয়।
আখাউড়া প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্লাবের আহ্বায়ক সাংবাদিক রুবেল আহমেদের সভাপতিত্বে চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওই সংগঠন উপদেষ্টা ও রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আকছির এম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এশিয়া সানি ইন্ডাস্ট্রি ইন্টারন্যাশনাল কোং লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার জেসি জ্যাং ও মরটন সেনেটারিওয়্যার ম্যানুফ্যাকচার লিমিটেডের সেলস ম্যানেজার পেনসন সি। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত দুজন বিদেশি নাগরিক পাঠাগার চত্বর ও আকছির এম চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে একটি ঔষধি গাছ ও দুটি ফলজ গাছ রোপণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট আকছির এম চৌধুরী বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষার জন্য সবাইকে বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের দেশে জনসংখ্যার অধিক চাপে পড়ে বেশির ভাগই ফসলি জমি উজাড় করে তৈরি করা হচ্ছে ঘরবাড়ি। প্রতিনিয়ত কাটা হচ্ছে গাছপালা। মানছে না কেউ বন বিভাগের নিয়মনীতি।
তাই পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। এভাবে ব্যাপক হারে গাছপালা ও ফসলি জমি বিলীন হতে থাকলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, খাদ্য সমস্যাও একসময় প্রকট আকার ধারণ করবে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছ লাগানোর বিকল্প নেই। আগের দিনে চারদিকে যে গাছপালা দেখা যেত, তার তিন ভাগের একভাগও এখন দেখা যায় না।
এমন চলতে থাকলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। সেই সাথে দেশের বিরাট অংশ সমুদ্রের পানিতে তলিয়ে যাবে।
আহমা/চাহ