অদক্ষ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করতে বাউবি বদ্ধপরিকর : উপাচার্য

ডিআর
সর্বশেষ
ডিআইইউ প্রতিবেদক,
দুই বাংলার জনপ্রিয় লেখক সমরেশ মজুমদার। তার লেখা এতোটাই জনপ্রিয় যে, তরুণ তরুণীরাদের মনের মধ্যে গেঁথে গিয়েছে লেখাগুলো।
মোঃ সিদরাতুল মুনতাহা রাকিন
অর্থনীতি বিভাগ,
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী প্রিয় লেখকে ব্যস্ততার মধ্যে শুভেচ্ছা জানাতে ভুল করেননি
শুভ জন্মদিন প্রিয় লেখক সমরেশ মজুমদার স্যার !
আপনি কেমন আছেন? ওপারে নিশ্চয়ই ভালোই আছেন। আপনার ঈশ্বর নিশ্চয়ই আপনাকে ভালো রেখেছেন।
আপনাকে নিয়ে বলার কিছু নেই, বলার প্রয়োজনও পড়ে না। জীবনে একবার ভুল করে আপনার লেখা একটি বই "গর্ভধারিণী" পড়ে ফেলেছিলাম! তারপর থেকে আর নিজেকে আটকাতে পারি নি। আপনার সৃষ্টি আমাকে বইয়ের পাতায় আটকে রেখেছে, মুক্তি দেয় নি।
আজ পর্যন্ত আপনার লেখা ১৮ টি বই পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে। শুরুটা "গর্ভধারিণী" দিয়ে, এরপর একে একে— "কথা হয়ে গেছে", "এই আমি রেনু", "মেয়েরা যেমন হয়", "জনযাজক", "সাতকাহন", "আমাকে চাই", "কেউ কেউ একা", "কেউ বোঝে না", "ভালো থেকো ভালোবাসা", "মনের মতো মন", "অনেকেই একা", "উজাড়", "একাকিনী", "উনকি", "উত্তরাধিকার", "কালবেলা", "কালপুরুষ"।
পরীক্ষার জন্য "মৌষলকাল" পড়া হয়নি, কিন্তু কিনে রেখেছি আরও বেশ কয়েকটি বই— "জলের নিচে প্রথম প্রেম", "প্রিয় আমার", "আলোক রেখা", "কোথায় যাবে সে", "আট কুটুরি নয় দরজা", "হিরে বসানো সোনার ফুল", "অসুখলতার ফুল", "দায় বন্ধন", "সমরেশের সেরা ১০১"। এগুলো পড়ার অপেক্ষায় রেখেছি।
এই দুই বছরের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যতটুকু সময় পেয়েছি, তার বেশিরভাগই আপনার বইয়ের পাতায় ডুবে থেকেছি। আপনার লেখা পড়লে মনে হয়, এক জীবনে কখনো সব সমস্যার সমাধান হয় না, কিন্তু চাইলেই অনেক সমস্যা সমাধান করা যায় এবং অসম্ভব সুন্দর ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলা যায়। আপনার লেখনীতে শৈশব থেকে শুরু করে নিয়ে বার্ধক্যে যাওয়ার সময়কালের জীবনী পড়া যায়। আপনার লেখা আমাকে শিখিয়েছে, সত্যিকারের জীবন কেমন হওয়া উচিত, কেমন হতে পারত!
দুই বছর আগে আপনাকে চিনতাম না। আপনার লেখা পড়তেও তেমন আগ্রহ ছিল না। অথচ আজ, দুই বছর পর, আপনার বই ছাড়া অন্য কোনো বই পড়তে ভালো লাগে না। মনে হয়, পৃথিবীর এক জীবন ভালোবাসার জন্য আর বই পড়ার জন্য বড়ই ক্ষুদ্র!
"উত্তরাধিকার", "কালবেলা", "কালপুরুষ", "গর্ভধারিণী", "সাতকাহন"—এই বইগুলোর গভীরতা মাপার মতো শব্দ আমি এখনও খুঁজে পাইনি। ভাবতে অবাক লাগে, "কালবেলা" একসময় দুই লক্ষ কপি বিক্রি হয়েছিল। এখন সংখ্যাটা কত, কে জানে!
আপনার বই পড়ে পাঠকের চোখে জল এসেছে,কেউ কেউ হয়তো আপনার লিখাকে পড়ে জীবনের সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলেছে। আপনি আমাদের জীবনে নিতান্তই প্রিয় একজন,যাকে ছাড়া আমরা হয়তো জীবনের ছোট্ট একটা অংশ অসম্পূর্ণ থেকে যেত । আপনার এক জীবনে অজস্র পাঠক আপনার বই পড়ে কেঁদেছে,অঝোরে কেঁদেছে। অনেককে কাঁদিয়ে ও,আপনি অনেকের প্রিয় লেখক! তার মধ্যে আমি ও ক্ষুদ্র একজন !
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিন আরো বলেন
অঞ্জন দত্ত, উনার ইন্টারভিউতে সমরেশ মজুমদার স্যারকে একটি প্রশ্ন করেছিলেন ,"আপনার আপনি রেখে যাচ্ছেন তো আপনার আমাদের পরের প্রজন্ম বলুন,সন্তান , সেখানে একটা বই আপনি আপনাদের মাঝে বলতে পারবেন,যেটা এই টেবিলটার মতো আমি এই বইটা রেখে গেলাম ?"
তিনি উত্তরে বলেছিলেন "আমি যখন মারা যাবো আমি যখন থাকবো না,
আমি জানি যতদিন মানুষের বুকে আবেগ থাকবে ,আবেগ যতদিন থাকবে ততদিন মানুষ মানুষ থাকবে । ততদিন একটি বই আমার লেখা, আমি খুব সামান্য একজন লেখক,তবু একটি বই বেঁচে থাকবে । কতদিন বেঁচে থাকবে কালজয়ী হয়ে , আমি জানি না । বইটির নাম "উত্তরাধিকার"। পাতা উল্টে পড়তে গিয়ে বুকের মধ্যে একটা দংকা বাতাস ওঠে ,কাঁপুনি আসে । এই যে আমারই আসে,যেই আমি আমার নিজেরই কোন লেখাই পড়তে চাই না !
তিনি আরো বলেন
আমার প্রথম লেখা যে টাকাটি পেয়েছিলাম,
(দেশ পত্রিকায় প্রথম গল্প 'অন্তর আত্মা' প্রকাশিত হয়
১৯৬৭ সালে, ৩০শে সেপ্টেম্বর।)
কফি খেয়ে শেষ করেছিলাম। বন্ধুরা বললো লেখ আবার টাকা পাবি তাহলে আবার কফি খেতে পারব । আমি বিশ্বাস করি আমি যদি না খেয়ে, পরিবারের চিকিৎসার জোগাড় করতে না পেরে, শুধু ভালো ভালো লিখা লিখে যাই । সৎ হয়ে লিখে যাই । আপনারা কি খুশি হবেন ?
আপনারা রাতে ঘুমাতে পারবেন ? পারবেন না জানি । তাই যখন বলি টাকার জন্য লিখি, তখন একটু বেশিই বলি। কিন্তু বলাটার মধ্যে মিথ্যা থাকেনা । তাই না ? কী বলো তুমি ?
তারপরে আর কোন কথা হয় নি সেই ইন্টারভিউতে !
আরেকটি ইন্টারভিউতে তিনি একটি কবিতা আবৃত্তি করেন
"কেউ কেউ খুব একা
আকাশের মত একা
এক বুক মেঘ নিয়েও
জলের পায় না দেখা ।
ভরদুপুরে সাহারার বুকে
ফুটে যদি কোন ফুল ,
যেন সে তো তারই ভুল ।
করুণা করে না দপ্ত ওলকা
সে যেনো থাকবে একা ,
ভরা পূর্ণিমা জ্যোৎস্না সাজায় তারার দেওয়ারি জেলে
জোছনার হোলি খেলে ।
গর্বিত চাঁদ নতোমুখি হলে
সূর্য পড়ায় টিকা
কেউ কেউ খুব একা
আকাশের মত একা !
"আপনার মনে হয় আপনি একা ?"
"আমার তো মনে হয় পৃথিবীর সমস্ত মানুষ একা " ।
আপনার আরও কিছু অমর উক্তি না দিলেই নয়—
আঘাত কি আমি জানি, তাই সেটা কাউকে দিতে একদম ইচ্ছে করে না!
মানুষ সব সময় প্রিয় জনকে আঁকড়ে ধরতে চায়। কিন্তু একা একা থাকতে থাকতে একটা সময় আসে, যখন অন্য লোকের ছায়াও সহ্য হয় না।
আজ এত বছর পরে সেই তারাটাকে খুঁজতে গিয়ে হাসি পেল অনিমেষের। হায়, তাদেরও বয়স বাড়ে, তারারাও মরে যায়।
"ভবানী মাস্টার ওর মাথায় হাত বুলিয়ে ফিসফিস করে বললেন, 'একটা কথা মনে রাখবা, বাবা, নিজের কাছে সৎ থাকলে জীবনে কোন দুঃখই দুঃখ হয় না। তুমি অনেক বড় হবা একদিন, কিন্তু সৎ থাকবা, আমাকে কথা দাও!'
কথাগুলো শুনতে শুনতে অনি আবার কেঁদে ফেলল।
অনিমেষের মনে হল, অনেক অনেক বছর আগের সে এখনকার তাকে দুচোখ ভরে দেখছে। সেই বালক বলছে, 'কেমন আছ অনিমেষ?'
এই মধ্যবয়স জবাব দিচ্ছে, 'ভাল না, একদম ভাল না।'
'তোমার তো এমন হবার কথা ছিল না।'
'আমি যখন তুমি ছিলাম, তখন ছিল না। তোমাকে দেখে আমার কষ্ট হচ্ছে। আমি যখন তুমি ছিলাম, তখন সত্যিই ভাল ছিলাম।'"
এক ফোঁটা ভালোবাসার জন্য যদি কোন মানুষ লক্ষ মাইল হেঁটে যেতে পারে, তাহলে একটা পুরো সমুদ্র পেলে সে কি করবে?
কে বেশি নিষ্ঠুর? মানুষ নাকি প্রকৃতি?
আমরা কাউকে অকারণে মনে রেখে দিই চিরকাল, যাকে হয়তো আমাদের মনে রাখার কোনো কথাই নেই!
কে যে কাকে ভালোবাসে, তা শুধু ঈশ্বরই জানেন!
তোরা সবাই হলি পাখির মতো। ডানায় জোর এলেই উড়ে যাস। এই যে তুই, আমার মেয়ের নাতি, তোকে দেখে যে কী ভাল লাগছে! তুইও পাখি হয়ে যাবি। বড়মা অমৃতর গায়ে হাত রাখলেন। হাতের চামড়ায় অজস্র ভাঁজ, ঝুলে গেছে।
আমি টাকা জমাচ্ছি। সেদিন, যখন অনেক টাকা হবে, সময় কেনার মতো টাকা, সেদিন কিছু সময় কিনে নেবো। যারা প্রতি দিন, প্রতি মাস, প্রতি বছরে বলে যায়– ‘খুব ব্যস্ত, একদম সময় পাই না, কাজের চাপে মনে থাকে না’, তাদের সে কেনা সময় ধার দেব। সময় কেনা হয়ে গেলে, আমি আবার টাকা জমাবো। এরপর কিনবো ‘অজুহাত’। পৃথিবীর সমস্ত অজুহাত কিনে জমাবো। সময়ের অভাবে, অজুহাতের কারণে, কেউ যেন আর প্রিয় মানুষদের ভুলে না যায়– তাই অফুরন্ত সময় আর শূন্য অজুহাতের এক পৃথিবী বানাবো।
ফিরে আসছিলাম। তখন এখানে অনেক প্রজাপতি উড়ছিল। মেঘ ভাঙা ভাঙা রোদ ঝরে ঝরে পড়ছিল, নদী বয়ে যাচ্ছিল গর্বিত হয়ে, আকাশের নীল মেখে। শুধু তুমি নেই। কোথাও তুমি নেই। তাই কেউ এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করছে না, ‘ভালোবাসা কাকে বলে?’
কিন্তু আমি এই হৃদয় নিংড়ে উচ্চারণ করেছি নীরবে, যেখানেই থাকো, ভালো থেকো, ভালোবাসা। - সমরেশ মজুমদার
সবকিছু মিলিয়ে উপলব্ধি করতে পারলাম হয়তো বা জীবনে আপনিও কাউকে ভালোবেসে ছিলেন। অসম্ভব ভালোবেসে ছিলেন । তবে তিনি ও কী আপনাকে ভালোবেসে ছিলেন? আপনাদের পরিচয় কোথায় হয়েছিল? আপনিও কী কখনো তাকে পাওয়ার জন্য অঝোরে কেঁদেছিলেন? কতকিছুই তো অজানা থেকে গেল প্রিয় লেখক ! আপনি যদি আজ প্রত্যক্ষভাবে জীবিত থাকতেন তবে হয়তো এই প্রশ্নের উত্তর পেতাম! অবশেষে এতোটুকু বলতে চাই ,
আপনি বলেছিলেন "আমরা কাউকে অকারণে মনে রেখে দিই চিরকাল, যাকে হয়তো আমাদের মনে রাখার কোনো কথাই নেই!" আপনার এই বাক্য ও আপনার লিখা আমার মনে থাকবে চিরকাল ।
শুভ জন্মদিন, সমরেশ মজুমদার স্যার!
রংপুরে গ্রেফতার হওয়া আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকারের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (১ম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোয়েবুর রহমান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মুস্তাফিজার রহমান ১৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। রিমান্ডের বিরোধিতা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী এ্যাড. ইতফা আক্তার। পরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে বুধবার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আরপিএমপি কমিশনার মো. মজিদ আলীর নেতৃত্বে নগরীর নিউ সেনপাড়া এলাকায় তার ছেলের ভাড়া করা বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকারকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান সঙ্গে ছিল।
গ্রেফতার আফতাব উদ্দিন সরকার নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন প্রতিহত করতে অবৈধভাবে দেশীয় অস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার, বলপ্রয়োগ, হামলা ও হত্যার চেষ্টা অভিযোগে তিনটি মামলা রয়েছে। তাকে রংপুরের মাহমুদুল হাসান মুন্না হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তিনি এই মামলার এজাহারভুক্ত ৬০ নম্বর আসামি।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন সাত বিশিষ্ট ব্যক্তি।
তারা হলেন- মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানী (মরণোত্তর), পপ সম্রাট আজম খান (মরণোত্তর), কবি আল মাহমুদ (মরণোত্তর), বামপন্থী রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমর, ব্রাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), ভাস্কর নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর) এবং বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।
স্বাধীনতা পদক বা স্বাধীনতা পুরস্কার বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদক। স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে এই পদক দেওয়া হয়। এই পুরস্কার জাতীয় জীবনে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নাগরিক বা গোষ্ঠিকে দেওয়া হয়। ব্যক্তির পাশাপাশি জাতীয় জীবনের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অনন্য উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠানসমূহকেও এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
এটি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে ১৮ ক্যারেটের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, সম্মানীর অর্থের চেক ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।
কচুয়ার একটি হত্যা মামলাসহ একাধিক রাজনৈতিক মামলায় তিনি কারাগারে রয়েছেন। অসুস্থ্যতার কারণে খুলনায় চিকিৎসা শেষে ২৬ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাট আদালতে মামলার হাজিরা শেষে বিকেলে কারাগারে নেওয়া হয় মেহেদী হাসান বাবুকে।
বাগেরহাট কারাগারে বন্দি কচুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাবুর কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে কারাগারে থাকা মেহেদী হাসান বাবুর ব্যাগ তল্লাশি চালিয়ে এই ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় মেহেদী হাসান বাবুসহ চার কারাবন্দিকে শাস্তি হিসেবে ডান্ডাবেরী পড়ানো হয়। অন্য তিনজন হল, বাদল শেখ, ইউসুফ শিকদার ও জসিম সরদার।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, গেল ২৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে পটুয়াখালীর লেবুখালীতে পায়রা সেতুর টোল প্লাজা থেকে কচুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাবুকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ২৮ ডিসেম্বর থেকে কচুয়ার একটি হত্যা মামলাসহ একাধিক রাজনৈতিক মামলায় তিনি কারাগারে রয়েছেন। অসুস্থ্যতার কারণে খুলনায় চিকিৎসা শেষে ২৬ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাট আদালতে মামলার হাজিরা শেষে বিকেলে কারাগারে নেওয়া হয় মেহেদী হাসান বাবুকে।
এবিষয়ে জানতে কারাগারের সামনে সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে কারাগারের দায়িত্বশীল কেউ মুঠোফোন রিসিভ করেননি। পরে জেলা প্রশাসকের সরানাপন্ন হলে আধাঘণ্টা পর জেল সুপার মুঠোফোন রিসিভ করেন।
মুঠোফোনে জেল সুপার শংকর কুমার মজুমদার বলেন, সন্দেহ হলে দায়িত্বরত কারারক্ষীরা আমাদের জানায়। পরে মেহেদী হাসান বাবুর ব্যাগ তল্লাশি করে তিন পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে জেলকোড অনুযায়ী, মেহেদী হাসান বাবুসহ চারজনকে ডান্ডাবেরী দেওয়া হয়েছে। তবে কারা অভ্যন্তরে কিভাবে ইয়াবা প্রবেশ করল এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দেননি জেল সুপার শংকর কুমার মজুমদার।
এবিষয়ে কারাগারে সিআইডি (কারা গোয়েন্দা) হিসেবে দায়িত্বে থাকা আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি আইজি স্যারের অনুমতি ছাড়া কথা বলতে পারব না বলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
বাগেরহাট কারাগারে বন্দি কচুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাবুর কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে কারাগারে থাকা মেহেদী হাসান বাবুর ব্যাগ তল্লাশি চালিয়ে এই ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় মেহেদী হাসান বাবুসহ চার কারাবন্দিকে শাস্তি হিসেবে ডান্ডাবেরী পড়ানো হয়। অন্য তিনজন হল, বাদল শেখ, ইউসুফ শিকদার ও জসিম সরদার।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, গেল ২৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে পটুয়াখালীর লেবুখালীতে পায়রা সেতুর টোল প্লাজা থেকে কচুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাবুকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ২৮ ডিসেম্বর থেকে কচুয়ার একটি হত্যা মামলাসহ একাধিক রাজনৈতিক মামলায় তিনি কারাগারে রয়েছেন। অসুস্থ্যতার কারণে খুলনায় চিকিৎসা শেষে ২৬ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাট আদালতে মামলার হাজিরা শেষে বিকেলে কারাগারে নেওয়া হয় মেহেদী হাসান বাবুকে।
এবিষয়ে জানতে কারাগারের সামনে সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে কারাগারের দায়িত্বশীল কেউ মুঠোফোন রিসিভ করেননি। পরে জেলা প্রশাসকের সরানাপন্ন হলে আধাঘণ্টা পর জেল সুপার মুঠোফোন রিসিভ করেন।
মুঠোফোনে জেল সুপার শংকর কুমার মজুমদার বলেন, সন্দেহ হলে দায়িত্বরত কারারক্ষীরা আমাদের জানায়। পরে মেহেদী হাসান বাবুর ব্যাগ তল্লাশি করে তিন পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে জেলকোড অনুযায়ী, মেহেদী হাসান বাবুসহ চারজনকে ডান্ডাবেরী দেওয়া হয়েছে। তবে কারা অভ্যন্তরে কিভাবে ইয়াবা প্রবেশ করল এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দেননি জেল সুপার শংকর কুমার মজুমদার।
এবিষয়ে কারাগারে সিআইডি (কারা গোয়েন্দা) হিসেবে দায়িত্বে থাকা আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি আইজি স্যারের অনুমতি ছাড়া কথা বলতে পারব না বলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
পুলিশে রদবদলের অংশ হিসেবে একযোগে বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১১৭ ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৭ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
সোমবার (৩ মার্চ) পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ বদলি করা হয়।
এতে বদলি করা কর্মকর্তাদের ১৯ মার্চের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থলের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। না হলে পরদিন থেকে তাদের তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) হিসেবে গণ্য করা হবে।
বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের ডিএমপি, এসবি, সিআইডি, র্যাব, জেলা পুলিশ, পুলিশ সদর দপ্তর, পিবিআই, এপিবিএন ও ট্যুরিস্ট পুলিশে বদলি করা হয়েছে।
সরকার পতনের পর পুলিশ বাহিনীতে রদবদলের ধারাবাহিকতায় এর আগেও কয়েক দফায় বড় রদবদল হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার গত বছরের ২০ নভেম্বর আগের পুলিশ প্রধান মো. ময়নুল ইসলামকে সরিয়ে নতুন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে দায়িত্ব দেয় বাহারুল আলমকে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের একটাই উদ্দেশ্য, একটি আদর্শ সমাজ বিনির্মাণ করা। এ কাজের জন্য জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের উপযুক্ত হয়ে গড়ে উঠতে হবে। জামায়াতকে দেশ গড়ার দায়িত্ব দিলে একটি বৈষম্যহীন মানবিক রাষ্ট্র উপহার দেওয়া সম্ভব হবে।
সোমবার (৩ মার্চ) দীর্ঘ ৯ বছর পর খুলনা নগরীর খানজাহান আলী রোডের তারের পুকুরস্থ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খুলনা মহানগরী কার্যালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে আমাদের সবগুলো অফিস সিলগালা করে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের নেতাকর্মীদের ঘর থেকে তুলে নিয়ে গুম খুন নির্যাতন করা হয়েছে। আমাদের নেতাদেরকে বিচারের নামে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা তাদের প্রতি প্রতিশোধে বিশ্বাসী নই। তবে জাতিকে কলঙ্ক মুক্ত করার জন্য ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারের আওতায় আনা দরকার।
জামায়াতে ইসলামীর এই নেতা বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা ময়দানে ফেরার যে তৌফিক দিয়েছেন তার জন্য শুকরিয়া হিসেবে আমরা চিরকৃতজ্ঞ থাকব। যে শক্তি বিতাড়িত হয়েছে তাদের ব্যাপারে পাহারাদারের ভূমিকায় থাকতে হবে। তারা যেন দেশে ঢুকে আবার অন্যায় করতে না পারে। তাদের এখন একটাই পরিকল্পনা, কীভাবে বাংলাদেশের এই পরিবেশকে নস্যাৎ করে সারা দুনিয়াকে দেখানো যায় যে বাংলাদেশ অচল হয়েছে।’
গোলাম পরওয়ার বলেন, আজকে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর যে কার্যালয় উদ্বোধন হলো এখানে কুরআন-হাদিসের চর্চা হবে। অন্য কোন দরীয় কার্যালয়ের মতো একটি আড্ডা খানায় পরিণত হবে। এখানে কুরআন-হাদিস ও ইসলামী সাহিত্য পড়ে গবেষণা কাজ করতে হবে। বাংলাদেশকে একটি মডেল রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য একদল আদর্শবাদী ও চরিত্রবান লোক তৈরির কোনো বিকল্প নেই।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শবাদী সংগঠন। জামায়াত দেশকে একটি মডেল রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য দীর্ঘ পরিসরে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। এ মহতী কাজ সম্পাদনের জন্য একদল আদর্শ ও চরিত্রবান লোক তৈরি করার কোনো বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যেই আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ইতোমধ্যে এমন একটি জনগোষ্ঠী তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি যারা দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠায় যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছেন।
রমজানের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, একজন মুসলিমের জন্য রমজান মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমলের মাস। এটি আত্মশুদ্ধি, ধৈর্য, সংযম, ত্যাগ ও অপরের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশের মাস। অন্যান্য মাসে আমল-ইবাদত বা ভালো কাজ করলে যে পরিমাণ সওয়াব হয়, রমজান মাসের আমলে তার সত্তর গুণ বেশি সওয়াব হয়। রমজানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো মানবতার সেবা করা। এই মাস আমাদের আত্মশুদ্ধির পাশাপাশি অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল, ভালোবাসা প্রকাশ এবং সমাজের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের প্রয়োজন মিটাতে উদ্বুদ্ধ করে।
রমজান মাসে দান-সদকার গুরুত্ব উল্লেখ্য করে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, রমজান মাসে দান-ছদকা করলে, গরীব-অসহায়দের আহার করালে অন্যান্য মাসের থেকে সত্তর গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। হাদিসের সবথেকে গ্রহণযোগ্য কিতাব সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) ধন-সম্পদ ব্যয় করার ব্যাপারে সকলের চেয়ে দানশীল ছিলেন। রমজানে জিবরীল আলাইহিস সালাম যখন তার সাথে দেখা করতেন, তখন তিনি আরও অধিক দান করতেন। রমজানের প্রতি রাতেই জিবরীল আলাইহিস সালাম তার সাথে একবার সাক্ষাৎ করতেন। আর নবী (সা.) তাকে কুরআন শোনাতেন। জিবরীল আলাইহিস সালাম যখন তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন তখন তিনি রহমত প্রেরিত বায়ুর চেয়ে অধিক ধন-সম্পদ দান করতেন। অন্য একটি হাদিসে এসেছে। এক মজলিসে রাসুল (সা.) বললেন, সাওম ও সদকা একত্রিত হলে জান্নাত পাওয়া অত্যাবশ্যকীয় হয়ে যায়। জান্নাতে একটি প্রাসাদ রয়েছে যার ভিতর থেকে বাহির এবং বাহির থেকে ভিতর পরিদৃষ্ট হবে। তখন এক বেদুঈন উঠে দাঁড়ালেন, বললেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.) এটি কার হবে? তিনি বললেন, এটি হবে তার যিনি ভালো কথা বলে, অন্যকে খাদ্য খাওয়ায়, সর্বদা সাওম পালন করে এবং যখন রাতে মানুষ ঘুমিয়ে থাকে তখন সে উঠে সালাত আদায় করে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও মহানগরী আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন মহানগরী নায়েবে আমির অধ্যাপক নজিবুর রহমান, সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, সহকারী সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও আজিজুল ইসলাম ফারাজী, মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন, সেক্রেটারি রাকিব হাসান, মাওলানা শেখ ওয়ালিউল্লাহ, ইকবাল হোসেন, মীম মিরাজ হোসাইন প্রমুখ।
কুরআন তেলাওয়াত করেন হযরত মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আ ন ম আব্দুল কুদ্দুস। দীর্ঘ নয় বছর পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে এবং হামলা মামলায় জামায়াত নেতৃবৃন্দ অফিসে নিয়মিত বসতে পারেন নাই। এবং আওয়ামী সরকারের পেটোয়া পুলিশ বাহিনী অফিসটি বন্ধ করে দিয়েছিল ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে।
জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ থেকে বেরিয়ে সরকারকে সহায়তা করতে এসেছিল নতুন সংগঠন ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’। সেখান থেকে বেরিয়ে জনগণের চাহিদা মোতাবেক আসছে সমন্বয়কদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মানিক মিয়া এভিনিউতে দলটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবেন দলটির নেতারা। যেখানে শীর্ষ পাঁচ পদেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা থাকবেন বলে জানা গেছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, দলটির নাম হতে পারে গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি। আর এর নেতৃত্ব দেবেন নাহিদ ইসলাম। সে কারণে শিক্ষার্থীদের ছাত্রসংঠনটির নাম গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। যেটা মূলত গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির হাত ধরে পরিচালিত হবে।
সূত্র জানায়, রাজনৈতিক দলটির আহ্বায়ক হবেন সদ্য সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। সদস্য সচিব পদে আসবেন আকতার হোসেন ও প্রধান সমন্বয়কারী পদে আসবেন নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী। এছাড়া, মুখ্য সংগঠক পদে আসবেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম।
শীর্ষ পাঁচ পদে আসা এ শিক্ষার্থীরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এখানে নাহিদ ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ সেশনের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। পাশাপাশি আকতার হোসেন ঢাবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। এ ছাড়া, নাসিরুদ্দিন পাঠোয়ারী ঢাবির ম্যানেজমেন্ট বিভাগের, হাসনাত আব্দুল্লাহ ঢাবির ইংরেজি বিভাগের ও সারজিস আলম ঢাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু ৫ আগস্টের পরে তাদের সেভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। এমনকি নতুন যে ছাত্রসংগঠন এসেছে সেখানেও শীর্ষ সব পদে ঢাবি শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘোষণার সময় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিক্ষোভ শুরু করে। পরবর্তী সময়ে বিক্ষোভ থেকে এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। ফলে, পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার আগেই সংবাদ সম্মেলন না করেই বেরিয়ে যেতে হয় নেতাকর্মীদের। আজও এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা কেউ কেউ।
নাম প্রকাশ না করের শর্তে নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ এক নেতা বলেন, ‘আসলে এখানে ঢাবি, আর ঢাবির বাইরের দেখে কাউকে বাদ দেব বা রাখব- এসব বিষয় বিবেচনা করে রাজনৈতিক দল করিনি। আমরা নেতৃত্ব ও তার যোগ্যতার দিকটিকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে চাই। যারা দল চালাতে পারবে তাদেরকেই শীর্ষ পদগুলোতে রাখা হবে। তাই, কেউ যদি এটাকে বৈষম্য মনে করে তাহলে তো সেটা দলের সঙ্গে একধরনের বৈষম্য। কারণ, একটা দল চালাতে হলে সেখানে নেতৃত্বের গুণাবলীসম্পন্ন লোক দরকার। আমরা সেটাকেই বিবেচনা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি অবশ্যই রাখব। আমাদের দলের নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করলে সেখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাব বলে আশা করি।’
ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে আমাদের কন্ট্রিবিউশন নিয়ে আশা করি বলতে হবে না। নতুন ছাত্রসংগঠনে আমাদের অন্তত একজনকে শীর্ষ পদে তারা রাখতে পারত। কিন্তু সেটা করেনি। তারা নিজেদের লোক নিয়ে দল গঠন করেছে, এবং সামনেও করবে। এখন তারা যখন আমাদের বাদ দিতে চায়, দেখি আমাদের ছাড়া কতদূর যায়।’
ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কথা রয়েছে নাহিদ ইসলামের। এ অবস্থায় গতকাল তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর একদিন পর নিজের সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করেছেন তিনি।
আজ বুধবার (২৬ শে ফেব্রুয়ারী) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করেন তিনি।
উপদেষ্টা পদে যোগদানের আগে আমার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল না। ২১ আগস্ট উপদেষ্টা পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্মানী গ্রহণের লক্ষ্যে সরকারিভাবে সোনালী ব্যাংকে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলি। উক্ত অ্যাকাউন্টে ২১ আগস্ট ২০২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত লেনদেনের হিসাব জনগণের কাছে উপস্থাপন করছি।
উক্ত হিসাবে ১০,০৬,৮৮৬ (দশ লক্ষ ছয় হাজার আটশত ছিয়াশি) টাকা জমা হয়েছে এবং ৯,৯৬,১৮৮ (নয় লক্ষ ছিয়ানব্বই হাজার একশত আটাশি) টাকা উত্তোলিত হয়েছে। উল্লেখ্য, সোনালী ব্যাংকের এই অ্যাকাউন্টটি ছাড়া আমার অন্য কোনো অ্যাকাউন্ট নেই।
উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন, আমার বা আমার পরিবারের কোনো সদস্যের (স্ত্রী/মা/বাবা) নামে বাংলাদেশের কোথাও জমি বা ফ্ল্যাট নেই বা আমার বা আমার পরিবার কর্তৃক ক্রয় করা হয়নি।
আমার একান্ত সচিবের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ এর হিসাবে ৩৬,০২৮ (ছত্রিশ হাজার আটাশ) টাকা রয়েছে। উনি একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর উনার নিজের নামে বা উনার পরিবারের (স্ত্রী/মা/বাবা) কারো নামে বাংলাদেশের কোথাও কোনো সম্পত্তি ক্রয় করা হয়নি।
এছাড়া আমার ব্যক্তিগত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট যেকারো সম্পদের স্বচ্ছ হিসাব রয়েছে। প্রয়োজনে উন্মুক্ত করা হবে।
তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ অনুযায়ী বাংলাদেশের যেকোনো সরকারি দপ্তরে উক্ত তথ্য যাচাইযোগ্য।
পোস্টের সঙ্গে তার সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্টের ছবিও যুক্ত করেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে গঠিত নতুন ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, আন্দোলনে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে গিয়েছিল, তখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই সেই আন্দোলনকে এক দফায় পরিণত করে। কিন্তু নতুন সংগঠনের কমিটিতে ঢাবি শিক্ষার্থীরাই পদ ভাগাভাগি করেছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে আটটায় কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি এবং মারামারির প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এসব কথা বলেন।
তরিকুল ইসলাম নাহিদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, গত ১৭ জুলাই যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনার ভয়ে লেজ গুটিয়ে ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে গিয়েছিল, তখন যারা তাদের তুলে এনেছিল এবং আন্দোলনকে এক দফায় পরিণত করেছিল, তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। কিন্তু আজকে নতুন ছাত্র সংগঠনের কমিটিতে কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকেই রাখা হয়নি। আজকে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ কর্মসূচি জানাতে আমরা মধুরক্যান্টিনে যাই, সেইসময় কতিপয় শিক্ষার্থী আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমাদের অনেকেই আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তো এবং একটু সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। সেই প্রত্যয় নিয়ে আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি ইতিহাস গড়তে পারতো। কিন্তু তারা আজকে কমিটি প্রকাশের মাধ্যমে ঐতিহাসিক পরাজয় বরণ করেছে।
নাহিদ বলেন, তারা সংগঠনের নাম দিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো, তাদের এ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আমরা কেউ বাংলাদেশকে দেখতে পাই না। আমরা শুধু এই সংগঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেই দেখতে পেয়েছি। আমরা দেখছি কমিটির সুপার সিক্সের ৬ জনের মধ্যে ৫ জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের, বাকি একজন সম্ভবত জাহাঙ্গীরনগরের। এই কমিটিতে প্রাইভেট নেই, জগন্নাথ নেই, কোনো মাদ্রাসাও নেই।
হাতাহাতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তো মারামারি বা মার খেতে যাইনি। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম আন্দোলনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেক চাইতে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাধান্য দিয়ে যে কমিটি ঘোষণা হয়েছে, আমরা সেটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। একইসঙ্গে জানিয়ে দিচ্ছি, তাদের এই কমিটিতে কোনো পদেই আমরা আর অংশগ্রহণ করবো না।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে আমরা কোনোধরনের বৈষম্যের শিকার হতে চাই না। এমনকি এই ঢাবি সিন্ডিকেটকেও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা নিজেদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা না চাইবে এবং কমিটি পুনর্গঠন না করবে, তাদের কোনো কর্মসূচিতেও আমরা আর অংশগ্রহণ করবো না।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কালক্ষেপণ না করে ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ফলে সময় সংকটের কারণে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বলতে যেসব নির্বাচন বুঝায়, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ এসব নির্বাচন দেওয়া সম্ভব হবে না।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে ভোটার তালিকা হালনাগাদ উপলক্ষে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ডিসেম্বরকে সামনে রেখেই নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, দেশের মানুষ ভোট দিতে আগ্রহী হয়ে আছে বলেই উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে ভোটের পরিবেশ তৈরি করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে কমিশন।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কালক্ষেপণ না করে ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ফলে সময় সংকটের কারণে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বলতে যেসব নির্বাচন বুঝায়, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ এসব নির্বাচন দেওয়া সম্ভব হবে না।
নতুন ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিষয়ে ইসি আনোয়ারুল বলেন, আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করেছি। এখন রেজিস্ট্রেশনের কাজ পুরোদমে চলছে। কোথাও কোথাও সারারাত কাজ চলছে। আমরা আশাব্যঞ্জক সাড়া পাচ্ছি।
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ প্রশাসনিক কার্যক্রমের স্বাভাবিক দৃশ্যমান উন্নতি ঘটবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই নির্বাচন কমিশনার।
মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাতের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার, মুন্সিগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মোজাম্মেল হোসেনসহ উপজেলার নির্বাচনি কর্মকর্তারা।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন উপদেষ্টাদের মধ্যে দফতর বণ্টন করেছেন। এরই অংশ হিসেবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মাহফুজ আলমকে। তবে নাহিদ ইসলামের অপর মন্ত্রণালয় ডাক ও টেলিযোগাযোগের দায়িত্ব এখনো কাউকে দেওয়া হয়নি, যা নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নাহিদ ইসলামের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন উপদেষ্টাদের মধ্যে দফতর বণ্টন করেছেন। এরই অংশ হিসেবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মাহফুজ আলমকে। তবে নাহিদ ইসলামের অপর মন্ত্রণালয় ডাক ও টেলিযোগাযোগের দায়িত্ব এখনো কাউকে দেওয়া হয়নি, যা নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সামলাবেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নাহিদ ইসলাম তথ্য উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার পদত্যাগের পর থেকেই জল্পনা চলছিল যে, তিনি একটি নতুন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে আসবেন। নাহিদ ইসলামও বারবার জানিয়েছিলেন যে, তিনি পদত্যাগ করে নতুন দলের সঙ্গে যুক্ত হবেন। তার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে সেই সব গুঞ্জনই শেষ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, নাহিদ ইসলামের ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ঘটবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম।
মাহফুজ আলম গত বছরের ১০ নভেম্বর উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন, তবে তখন তিনি কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন না। এর আগে, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ২০ দিনের মাথায় ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মাহফুজ আলম। তিনি আন্দোলনে রাজনৈতিক-বুদ্ধিবৃত্তিক সহযোগীর দায়িত্বে ছিলেন এবং গণ–অভ্যুত্থানের পর ছাত্র, নাগরিক ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক ছিলেন।
গতকাল পদত্যাগ করা নাহিদ ইসলাম ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন, তবে মাহফুজ আলমকে একমাত্র তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন চাওয়াটা স্বাভাবিক। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণের কাছে ভোট চাওয়া এবং নির্বাচন চাওয়া। আজকে কিছু কিছু লোক বলছে বিএনপি শুধু নির্বাচন চায়। আমরা যদি জনগণের রাজনৈতিক শক্তিতে বিশ্বাস করি, আমরা যদি গণতন্ত্র বিশ্বাস করি, আমরা যদি ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি স্বাভাবিকভাবে আমরা ভোট বা নির্বাচন চাইবো, জনগণের কাছে ভোট চাইবো, মধ্যে নির্বাচন চাইবো স্বাভাবিক ব্যাপার। একটি স্বাভাবিক ব্যাপারকে কেন কিছু লোক অস্বাভাবিক ব্যাপার হিসেবে দেখছে সেটি আমাদের ভেবে দেখতে হবে। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে নির্বাচন যদি বিলম্বিত হয় তাহলে কারা সুবিধা পাবে এটি আজকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা আমাদের পরিকল্পনা- আগামী দিনে আমরা দেশকে কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, সেই পরিকল্পনা আমরা দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরবো। আমরা প্রত্যাশা করবো অন্যান্য যেসব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল আছে তারাও তাদের পরিকল্পনা দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরবেন। দেশের মানুষই হচ্ছে প্রধান বিচারক, এই দেশের মালিক জনগণ। কাজেই জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কাদের পরিকল্পনাকে তারা সমর্থন করবে, কাদেরকে তারা দায়িত্ব দেবে দেশ পরিচালনা করার।
তিনি বলেন, আজকে আমরা নিজেদের মধ্যে যত বেশি অপ্রয়োজনীয় তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হবো, তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশ, দেশের মানুষ, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। বহু ক্ষতির ভেতর দিয়ে বিগত ১৫ বছর দেশের মানুষ, দেশ গেছে। এখন দেশ গড়ার পালা। দেশ গড়ার জন্য, দেশের রাষ্ট্র কাঠামোকে গড়ে তোলার জন্য যা যা করা উচিত, দেশের ঐক্যকে ধরে রাখার জন্য যা যা পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে আমাদের সেই চেষ্টা আমরা অব্যাহত রাখবো। এই হোক আমাদের প্রত্যাশা, এই হোক আমাদের শপথ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে যদি আমরা গণতন্ত্র চর্চা করতে পারি, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে করতে পারি এই দেশকে এবং দেশের মানুষকে ষড়যন্ত্রের মানুষকে ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। যত বেশি গণতন্ত্রের চর্চা রাখতে পারবো তত বশি দেশের মানুষকে ষড়যন্ত্রের হাত থেকে নিরাপদ রাখতে পারব।
ঢাকা মহানগরীতে রিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা (যা ঝুঁকিপূর্ণ) বিভিন্ন সড়কে উল্টোপথে চলাচল করে থাকে। প্রায় সবক্ষেত্রে রিকশার যাত্রীরা রিকশা চালককে উল্টোপথে যেতে প্ররোচিত করে থাকেন -ডিএমপি।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
গনবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যাত্রীরা রিকশা চালকদের উল্টোপথে যেতে প্ররোচিত করলে এবং আইনি প্রয়োগে বাধা দিলে যাত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঢাকা মহানগরীতে প্রায়ই লক্ষ করা যায়, রিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা (যা ঝুঁকিপূর্ণ) বিভিন্ন সড়কে উল্টোপথে চলাচল করে থাকে। প্রায় সবক্ষেত্রে রিকশার যাত্রীরা রিকশা চালককে উল্টোপথে যেতে প্ররোচিত করে থাকেন।আবার ঢাকা মহানগরীর প্রধান সড়ক (যেসব সড়কে বাস চলাচল করে) ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যেখানে রিকশা চলাচলের অনুমোদন নেই সেসব সড়কেও রিকশা চলাচল করতে দেখা যায়।
এ ক্ষেত্রেও যাত্রীরা রিকশা চালকদের অননুমোদিত সড়কে প্রবেশ করতে প্ররোচিত করে থাকেন। উল্টোপথে এবং অননুমোদিত সড়কে রিকশা চলাচলের ফলে সড়কের স্বাভাবিক যানচলাচল বিঘ্নিত হয়ে যানজট বৃদ্ধির পাশাপাশি মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। আবার অনেক সময় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ ও ট্রাফিক সহায়তাকারী গ্রুপ সদস্যদের সঙ্গে অযাচিত বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়ে সরকারি কাজে বাধা প্রদানের ফলে সংশ্লিষ্ট যাত্রী/চালকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অনুরূপভাবে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন সড়কে মোটরসাইকেল এবং অটোরিকশা (সিএনজি চালিত) উল্টোপথে চলাচল করতে দেখা যায়। উল্টোপথে চলাচলের কারণে সড়কে যানজট বৃদ্ধির পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য উল্টোপথে চলাচলকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করার সময় অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট যাত্রী/চালক আইন প্রয়োগ করতে বাধা প্রদান করে থাকেন। এরূপ পরিস্থিতিতে ফৌজদারি অপরাধ করার ফলে সংশ্লিষ্ট যাত্রী/চালককে গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের হাতে সোপর্দ করতে হয়।
এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে সরকারি যানবাহন ও বিভিন্ন পেশাজীবী পরিচয় বহনকারী যানবাহন (যেমন- সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের নামযুক্ত) বিভিন্ন সড়কে উল্টোপথে চলাচলপূর্বক এবং অবিবেচনাপ্রসূতভাবে সড়কে গাড়ি পার্কিং করে যানজট বৃদ্ধি করে থাকে। সম্প্রতি সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীরা উল্টোপথে চলাচলের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারপূর্বক বিজ্ঞ আদালতে পাঠানোর মতো ঘটনা ঘটেছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমতাবস্থায় মহানগরীর রিকশা যাত্রী, চালক, মোটরসাইকেল চালক এবং সরকারি যানবাহন চালকসহ অন্যান্য চালকদের উল্টোপথে না চলাচল করার জন্য এবং যাত্রী সাধারণকে ঝুঁকিপূর্ণ অননুমোদিত যানবাহনে ভ্রমণ না করার জন্য এবং যাত্রী সাধারণকে উল্টোপথে অননুমোদিত সড়কে যান নিয়ে প্রবেশ করতে প্ররোচিত না করার জন্য এবং ট্রাফিক পুলিশ বা ট্রাফিক সহায়তাকারী গ্রুপ (TAG) সঙ্গে অযাচিতভাবে বাকবিতণ্ডা না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ জোরদার করা হবে। এই বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকলের সহযোগিতা কামনা করছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন,আমাদের তরুণ প্রজন্ম নতুন পৃথিবী সৃষ্টিতে নেতৃত্ব দিতে চায়। সে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তারা প্রস্তুত। ছেলেরাও প্রস্তুত, মেয়েরাও প্রস্তুত। তারা ঘুণে ধরা, আত্মবিনাশী সভ্যতার বন্ধনমুক্ত হয়ে তাদের স্বপ্নের নতুন সভ্যতা গড়তে চায়।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘একুশে পদক-২০২৫’ অনুষ্ঠানের তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, আমরা এখন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী, উদ্যমী এবং সৃজনশীল। আমাদের তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন অতীতের যে কোনো প্রজন্মের স্বপ্নের চাইতে দুঃসাহসী। তারা যেমন নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে চায়, তেমনি একই আত্মবিশ্বাসে নতুন পৃথিবী সৃষ্টি করতে চায়।
যে সভ্যতার মূল লক্ষ্য থাকবে পৃথিবীর সকল সম্পদের উপর প্রতিটি মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা। প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন দেখার এবং সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের সকল সুযোগ নিশ্চিত করা। মানুষের জীবনযাত্রাকে এমনভাবে গড়ে তোলা যাতে করে পৃথিবীর অস্তিত্ব কোনোরকমে বিঘ্নিত না হয় এবং পৃথিবীর উপর বসবাসরত সব প্রাণীর সুস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকা কোনো ক্রমেই বিঘ্নিত না হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব যারা আজ একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন তাদের দেশবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনাদের অবদানের জন্য জাতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। আপনারা জাতির পথ প্রদর্শক। আপনাদের অবদানে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতি দৃঢ় বিশ্বাসে জাতিপুঞ্জের মজলিসে ক্রমাগতভাবে উন্নততর অবস্থানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সুযোগ এসেছে নতুন এক বাংলাদেশ নির্মাণের। আজ এই পদক প্রদান অনুষ্ঠানে আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি দেশমাতৃকার জন্য বিভিন্ন লড়াই-সংগ্রাম, বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে যে সকল সাহসী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন তাদের সকলকে।
এবারের অমর একুশে নতুন তাৎপর্য নিয়ে আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে। আমরা জানি, একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের আত্মপরিচয়ের অবিনাশী স্মারক। আমাদের স্বাধিকার চেতনার প্রাণপ্রবাহ একুশে ফেব্রুয়ারি। ১৯৫২ সালের এই ফেব্রুয়ারি মাসেই রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে পাকিস্তানি শাসকদের চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রুখে দাঁড়িয়েছিল ছাত্রসমাজ। ঢাকার রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এই ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমাদের স্বাধিকার চেতনার এক অবিশ্বাস্য জাগরণ সৃষ্টি হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আজ এই মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ উদযাপনের স্মরণীয় দিনে আমরা তরুণদের এই স্বপ্নের আশু বাস্তবায়ন নিশ্চিত হোক এই কামনা করছি। দেশের ভবিষ্যৎ রচনায় পথ দেখিয়ে যারা আজ জাতির পক্ষ থেকে স্বীকৃতি পেলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং তাদেরকে আবারো অভিনন্দন জানাচ্ছি।
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিয়ে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৮ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দলকে ‘একুশে পদক-২০২৫’ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেওয়া হয়।
এ বছর পদকের জন্য মনোনীতরা হলেন- চলচ্চিত্রে আজিজুর রহমান (মরণোত্তর), সংগীতে ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর) ও ফেরদৌস আরা, গবেষণায় মঈদুল হাসান, শিক্ষায় ড. নিয়াজ জামান, আলোকচিত্রে নাসির আলী মামুন ও চিত্রকলায় রোকেয়া সুলতানা, সাংবাদিকতায় মাহফুজ উল্লাহ (মরণোত্তর), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেহদী হাসান খান (দলনেতা), রিফাত নবী (দলগত), মো. তানবিন ইসলাম সিয়াম (দলগত) ও শাবাব মুস্তাফা (দলগত)।
এ ছাড়া সমাজসেবায় মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর), সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে মাহমুদুর রহমান, ভাষা ও সাহিত্যে হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর) ও শহীদুল জহির (মো. শহিদুল হক) (মরণোত্তর), সংস্কৃতি ও শিক্ষায় ড. শহিদুল আলম এবং ক্রীড়ায় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল মনোনীত হয়েছে।
পদকপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, একটি সম্মাননাপত্র ও ৪ লাখ টাকার চেক দেওয়া হবে।