অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি কাদের?
মরণব্যাধি ক্যান্সারের বিভিন্ন ধরনের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ হলো অগ্ন্যাশয় বা প্যাংক্রিয়াসের ক্যান্সার। এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই কঠিন। মোটামুটি ৬ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগী একদম সুস্থ হয়ে যান। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটি খুব জটিল। আর সবচেয়ে বড় কথা, এই ক্যান্সার হলে খুবই যন্ত্রণা হয়।
কাদের ঝুঁকি বেশি?
ওবেসিটি : ওজন বেশি থাকা এই ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ। এক্ষেত্রে ওজন বেশি থাকলে শরীর থেকে এমন কিছু হরমোন বের হতে থাকে, যা সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় বারবার এ কথা প্রমাণ হয়েছে। তাই ওজন বেশি থাকলে অবশ্যই আপনাকে সচেতন হতে হবে। সেক্ষেত্রে ওজন কমিয়ে ফেলাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
ডায়াবেটিস : ডায়াবেটিসের সঙ্গে প্যাংক্রিয়াসের সংযোগটা বরাবরের। কারণ এক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন কম বের হয় বা একেবারেই বের হয় না বলে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হন। এক্ষেত্রে কোনো কারণে প্যাংক্রিয়াসের কোষে সমস্যা হলে দেখা দিতে পারে প্যাংক্রিয়াটিস ক্যান্সার।
রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসা : বিভিন্ন রাসায়নিকের সংস্পর্শে এলেও শরীরে দেখা যেতে পারে এই সমস্যা। এক্ষেত্রে অ্যাসবেস্টস, নিকেল, ক্রোমিয়াম, সার ইত্যাদি থেকে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ক্রনিক প্যাংক্রিয়াটাইটিস : অগ্ন্যাশয়ের দীর্ঘকালীন প্রদাহের সমস্যাকে বলে ক্রনিক প্যাংক্রিয়াটাইটিস। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই ক্রনিক প্যাংক্রিয়াটাইটিসের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে সমস্যা হঠাৎ করেই বাড়তে শুরু করলে সতর্ক থাকুন।
সিগারেট খাওয়া : বিভিন্ন গবেষণা ইতোমধ্যেই দেখিয়েছে, যে মানুষ দিনে মাত্র দুটি সিগারেট খান তাদেরও ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে। তাই সাবধান থাকা ছাড়া গতি নেই।
এই রোগের লক্ষণ :
১. হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া।
২. খিদা না পাওয়া।
৩. অতিরিক্ত দুর্বলতা।
৪. পেটে ব্যথা।
৫. জন্ডিস।
৬. ফ্যাকাশে পায়খানা।
৭. বমি।
৮. বমি বমি ভাব ইত্যাদি।
এ সমস্যা দেখলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দ্রুত চিকিৎসা হলে রোগ মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এমকে