নম্বর প্রদানে অসংগতির অভিযোগে ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের একটি কোর্সের মিডটার্ম পরীক্ষার নম্বরে অসংগতি ও ফাইনাল পরীক্ষার আগে সেশনালের নম্বর না দেওয়ার অভিযোগে অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের বিরুদ্ধে তদন্তে কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় থাকা একাধিক সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন— আইন অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. সীমা জামান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. তাসনিম আরেফা সিদ্দিকী ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী
এর আগে গত ৭ জুন দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী শামসুদ্দিন বাবুল হাইকোর্টে এ নিয়ে রিট দায়ের করেন। সোমবার দুপুরে বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে দুই মাসের মধ্যে তদন্তের কাজ নিষ্পত্তি করা এবং প্রভিশনাল (সাময়িক)/মূল সার্টিফিকেট প্রদান স্থগিত রাখতে বলেছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নোংরা রাজনীতির এটা একটা বহিঃপ্রকাশ। কোনো শিক্ষার্থী যদি নম্বর কম পায় তাহলে সে চ্যালেঞ্জ করতে পারে, শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। এটা তার অধিকার। কিন্তু তারা এটা না করে বহু জায়গায় গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনটি আর দেখিনি আমি।
তিনি বলেন, আমি বিদ্বেষপ্রসূত হয়ে কাউকে কম নম্বর দেইনি। তারা কপি-পেস্ট করায় নম্বর কম পেয়েছে। যারা অভিযোগ করেছে শুধু তারা নয়... এ কারণে ২০-২১ জন শিক্ষার্থী নম্বর কম পেয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী কপি-পেস্ট করলে কিংবা ভালো না লিখলেও নম্বর দিতেই হবে এটা তো অস্বাভাবিক বিষয়। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে শিক্ষকতা করছি। এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে নেই।
প্রসঙ্গত, ড. জিয়া রহমানের বিরুদ্ধে সিআরএম ৪১১ নম্বর কোর্সের (লোকাল অ্যান্ড গ্লোবাল টেরোরিজম) মিডটার্ম পরীক্ষায় নম্বরে অসংগতি ও ফাইনাল পরীক্ষার আগে সেশনালের নম্বর না দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। তারা অভিযোগ করেন, ভালো পরীক্ষা দিলেও তারা আশানুরূপ ফলাফল করতে পারেননি। তারা অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান ব্যক্তিগত রোষানলের শিকার। এ বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে কয়েকবার চেষ্টা করেও কোনো সুরাহা না পেয়ে তারা আদালতে রিট দায়ের করেন তারা।
এমকে