অদক্ষ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করতে বাউবি বদ্ধপরিকর : উপাচার্য

ডিআর
সর্বশেষ
ঢাকা মহানগরীতে রিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা (যা ঝুঁকিপূর্ণ) বিভিন্ন সড়কে উল্টোপথে চলাচল করে থাকে। প্রায় সবক্ষেত্রে রিকশার যাত্রীরা রিকশা চালককে উল্টোপথে যেতে প্ররোচিত করে থাকেন -ডিএমপি।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
গনবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যাত্রীরা রিকশা চালকদের উল্টোপথে যেতে প্ররোচিত করলে এবং আইনি প্রয়োগে বাধা দিলে যাত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঢাকা মহানগরীতে প্রায়ই লক্ষ করা যায়, রিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা (যা ঝুঁকিপূর্ণ) বিভিন্ন সড়কে উল্টোপথে চলাচল করে থাকে। প্রায় সবক্ষেত্রে রিকশার যাত্রীরা রিকশা চালককে উল্টোপথে যেতে প্ররোচিত করে থাকেন।আবার ঢাকা মহানগরীর প্রধান সড়ক (যেসব সড়কে বাস চলাচল করে) ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যেখানে রিকশা চলাচলের অনুমোদন নেই সেসব সড়কেও রিকশা চলাচল করতে দেখা যায়।
এ ক্ষেত্রেও যাত্রীরা রিকশা চালকদের অননুমোদিত সড়কে প্রবেশ করতে প্ররোচিত করে থাকেন। উল্টোপথে এবং অননুমোদিত সড়কে রিকশা চলাচলের ফলে সড়কের স্বাভাবিক যানচলাচল বিঘ্নিত হয়ে যানজট বৃদ্ধির পাশাপাশি মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। আবার অনেক সময় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ ও ট্রাফিক সহায়তাকারী গ্রুপ সদস্যদের সঙ্গে অযাচিত বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়ে সরকারি কাজে বাধা প্রদানের ফলে সংশ্লিষ্ট যাত্রী/চালকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অনুরূপভাবে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন সড়কে মোটরসাইকেল এবং অটোরিকশা (সিএনজি চালিত) উল্টোপথে চলাচল করতে দেখা যায়। উল্টোপথে চলাচলের কারণে সড়কে যানজট বৃদ্ধির পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য উল্টোপথে চলাচলকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করার সময় অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট যাত্রী/চালক আইন প্রয়োগ করতে বাধা প্রদান করে থাকেন। এরূপ পরিস্থিতিতে ফৌজদারি অপরাধ করার ফলে সংশ্লিষ্ট যাত্রী/চালককে গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের হাতে সোপর্দ করতে হয়।
এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে সরকারি যানবাহন ও বিভিন্ন পেশাজীবী পরিচয় বহনকারী যানবাহন (যেমন- সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের নামযুক্ত) বিভিন্ন সড়কে উল্টোপথে চলাচলপূর্বক এবং অবিবেচনাপ্রসূতভাবে সড়কে গাড়ি পার্কিং করে যানজট বৃদ্ধি করে থাকে। সম্প্রতি সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীরা উল্টোপথে চলাচলের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারপূর্বক বিজ্ঞ আদালতে পাঠানোর মতো ঘটনা ঘটেছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমতাবস্থায় মহানগরীর রিকশা যাত্রী, চালক, মোটরসাইকেল চালক এবং সরকারি যানবাহন চালকসহ অন্যান্য চালকদের উল্টোপথে না চলাচল করার জন্য এবং যাত্রী সাধারণকে ঝুঁকিপূর্ণ অননুমোদিত যানবাহনে ভ্রমণ না করার জন্য এবং যাত্রী সাধারণকে উল্টোপথে অননুমোদিত সড়কে যান নিয়ে প্রবেশ করতে প্ররোচিত না করার জন্য এবং ট্রাফিক পুলিশ বা ট্রাফিক সহায়তাকারী গ্রুপ (TAG) সঙ্গে অযাচিতভাবে বাকবিতণ্ডা না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ জোরদার করা হবে। এই বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকলের সহযোগিতা কামনা করছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন,আমাদের তরুণ প্রজন্ম নতুন পৃথিবী সৃষ্টিতে নেতৃত্ব দিতে চায়। সে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তারা প্রস্তুত। ছেলেরাও প্রস্তুত, মেয়েরাও প্রস্তুত। তারা ঘুণে ধরা, আত্মবিনাশী সভ্যতার বন্ধনমুক্ত হয়ে তাদের স্বপ্নের নতুন সভ্যতা গড়তে চায়।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘একুশে পদক-২০২৫’ অনুষ্ঠানের তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, আমরা এখন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী, উদ্যমী এবং সৃজনশীল। আমাদের তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন অতীতের যে কোনো প্রজন্মের স্বপ্নের চাইতে দুঃসাহসী। তারা যেমন নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে চায়, তেমনি একই আত্মবিশ্বাসে নতুন পৃথিবী সৃষ্টি করতে চায়।
যে সভ্যতার মূল লক্ষ্য থাকবে পৃথিবীর সকল সম্পদের উপর প্রতিটি মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা। প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন দেখার এবং সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের সকল সুযোগ নিশ্চিত করা। মানুষের জীবনযাত্রাকে এমনভাবে গড়ে তোলা যাতে করে পৃথিবীর অস্তিত্ব কোনোরকমে বিঘ্নিত না হয় এবং পৃথিবীর উপর বসবাসরত সব প্রাণীর সুস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকা কোনো ক্রমেই বিঘ্নিত না হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব যারা আজ একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন তাদের দেশবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনাদের অবদানের জন্য জাতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। আপনারা জাতির পথ প্রদর্শক। আপনাদের অবদানে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতি দৃঢ় বিশ্বাসে জাতিপুঞ্জের মজলিসে ক্রমাগতভাবে উন্নততর অবস্থানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সুযোগ এসেছে নতুন এক বাংলাদেশ নির্মাণের। আজ এই পদক প্রদান অনুষ্ঠানে আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি দেশমাতৃকার জন্য বিভিন্ন লড়াই-সংগ্রাম, বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে যে সকল সাহসী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন তাদের সকলকে।
এবারের অমর একুশে নতুন তাৎপর্য নিয়ে আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে। আমরা জানি, একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের আত্মপরিচয়ের অবিনাশী স্মারক। আমাদের স্বাধিকার চেতনার প্রাণপ্রবাহ একুশে ফেব্রুয়ারি। ১৯৫২ সালের এই ফেব্রুয়ারি মাসেই রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে পাকিস্তানি শাসকদের চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রুখে দাঁড়িয়েছিল ছাত্রসমাজ। ঢাকার রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এই ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমাদের স্বাধিকার চেতনার এক অবিশ্বাস্য জাগরণ সৃষ্টি হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আজ এই মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ উদযাপনের স্মরণীয় দিনে আমরা তরুণদের এই স্বপ্নের আশু বাস্তবায়ন নিশ্চিত হোক এই কামনা করছি। দেশের ভবিষ্যৎ রচনায় পথ দেখিয়ে যারা আজ জাতির পক্ষ থেকে স্বীকৃতি পেলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং তাদেরকে আবারো অভিনন্দন জানাচ্ছি।
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিয়ে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৮ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দলকে ‘একুশে পদক-২০২৫’ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেওয়া হয়।
এ বছর পদকের জন্য মনোনীতরা হলেন- চলচ্চিত্রে আজিজুর রহমান (মরণোত্তর), সংগীতে ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর) ও ফেরদৌস আরা, গবেষণায় মঈদুল হাসান, শিক্ষায় ড. নিয়াজ জামান, আলোকচিত্রে নাসির আলী মামুন ও চিত্রকলায় রোকেয়া সুলতানা, সাংবাদিকতায় মাহফুজ উল্লাহ (মরণোত্তর), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেহদী হাসান খান (দলনেতা), রিফাত নবী (দলগত), মো. তানবিন ইসলাম সিয়াম (দলগত) ও শাবাব মুস্তাফা (দলগত)।
এ ছাড়া সমাজসেবায় মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর), সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে মাহমুদুর রহমান, ভাষা ও সাহিত্যে হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর) ও শহীদুল জহির (মো. শহিদুল হক) (মরণোত্তর), সংস্কৃতি ও শিক্ষায় ড. শহিদুল আলম এবং ক্রীড়ায় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল মনোনীত হয়েছে।
পদকপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, একটি সম্মাননাপত্র ও ৪ লাখ টাকার চেক দেওয়া হবে।
২১ শে ফেব্রুয়ারী মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৫ উপলক্ষ্যে সার্বিকভাবে সব ধরনের ঝুঁকি পর্যালোচনা করে সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে র্যাব ২১ ফেব্রুয়ারির নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো দল বা সংগঠনের সদস্যরা যাতে শহীদ মিনার অঙ্গনে প্রবেশ করে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে র্যাব তৎপর রয়েছে।
র্যাব সদর দপ্তর জানিয়েছে, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এছাড়াও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেবেন। ২১ শে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ অন্যান্য শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সবার সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। এছাড়াও উক্ত সময়ে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে জেলা/মেট্রোপলিটন এলাকা/থানাভিত্তিক স্থানীয় র্যাবের সহযোগিতা পেতে টহল ইনচার্জ অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত র্যাব ব্যাটালিয়ন অধিনায়ককে অবহিতকরণসহ র্যাবকে জানানোর জন্য সর্বসাধারণকে র্যাবের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
২১ ফেব্রুয়ারির নিরাপত্তা জোরদারে জারি করা সব ধরনের আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক নির্দেশনা বাস্তবায়নে র্যাব ফোর্সেস কাজ করছে। ২১ শে ফেব্রুয়ারি উদযাপনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব নিম্নোক্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
১. আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি রোধে ঢাকাসহ সারাদেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়েছে। র্যাব ফোর্সেসের সব ব্যাটালিয়ন সারা দেশে তাদের স্ব স্ব অধিক্ষেত্রে নিরাপত্তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
২. অগ্রিম পদক্ষেপ হিসেবে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে র্যাবের সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির মাধ্যমে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
৩. কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের জন্য র্যাব-৩ এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় উল্লিখিত এলাকার অবজারভেশন পোস্ট এবং চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে র্যাব অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয়পূর্বক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।
৪. শহীদ মিনারের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রয়োজনীয় সুইপিং সম্পন্ন করবে। পাশাপাশি যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য র্যাবের স্পেশাল ফোর্স সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে।
৫. বিভিন্ন এলাকা থেকে শহীদ মিনারমুখী রাস্তার মোড়ে চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় তল্লাশির মাধ্যমে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
৬. শহীদ মিনারসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানস্থলে আসা নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ইভটিজিং বা যেকোনো ধরনের হয়রানি প্রতিরোধে সতর্ক দৃষ্টি রাখবে র্যাব।
৭. ভার্চুয়াল জগতে যেকোনো ধরনের গুজব/উসকানিমূলক তথ্য/মিথ্যা তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে র্যাব সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইনে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রাখছে।
৮. কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন মেট্রোপলিটন এলাকা, বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সকল শহীদ মিনার এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় ইনার পেরিমিটার ও শহীদ মিনার সংলগ্ন এলাকাকে ভিডিও সার্ভিল্যান্সের আওতায় আনতে সিসিটিভি/আইপি ক্যামেরা এবং মনিটরিং কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
৯. ব্যাটলিয়নগুলো নিজ নিজ কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে তাদের অধিক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। র্যাব সদর দপ্তরে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করা হবে।
১০. নিষিদ্ধ ঘোষিত দল/সংগঠনের সদস্যরা যাতে শহীদ মিনার অঙ্গনে প্রবেশ করে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে র্যাব তৎপর রয়েছে।
৫ আগস্টের পর এই সমাবেশটি যশোরের ইতিহাসে স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। দীর্ঘ ১৭ বছর বিএনপি জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছে। জনগণের রায়ে একটি সরকার ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্র পরিচালনা করুক, যাতে করে দেশের গণতন্ত্র টেকসই থাকে। সেই প্রত্যাশা নিয়ে আমাদের এই সমাবেশ।
যশোর জেলা বিএনপির ‘স্মরণকালের সেরা’ মহাসমাবেশ শুরু হতে যাচ্ছে কিছুক্ষণের মধ্যে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যশোর টাউন হল ময়দানে জেলা বিএনপি আয়োজিত এ মহাসমাবেশে যোগ দিতে ইতোমধ্যে যশোরে পৌঁছেছেন বিএনপির মহাসচিব ও আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যশোর বিমানবন্দরে মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে তাকে স্বাগত জানান খুলনা বিভাগীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
যশোর জেলা বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, আজকের এ মহাসমাবেশ হবে সর্বকালের সেরা সমাবেশ। ইতোমধ্যে মাইকে প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি বিলি হয়েছে দাওয়াতপত্র ও লিফলেট। সমাবেশস্থলের সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে।
যশোর টাউন হল ময়দানে জেলা বিএনপি আয়োজিত এ মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে যশোর টাউন হল ময়দানে এ সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সমাবেশ ঘিরে বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরাও সমাবেশের উদ্দেশ্যে জেলা শহরে আসতে শুরু করেছেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান খান সাংবাদিকদের জানান, ৫ আগস্টের পর এই সমাবেশটি যশোরের ইতিহাসে স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। দীর্ঘ ১৭ বছর বিএনপি জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছে। জনগণের রায়ে একটি সরকার ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্র পরিচালনা করুক, যাতে করে দেশের গণতন্ত্র টেকসই থাকে। সেই প্রত্যাশা নিয়ে আমাদের এই সমাবেশ।
তিনি বলেন, এ সমাবেশ থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনী বার্তা দিবেন। এ সমাবেশে লক্ষাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা, পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবিলাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
দেলোয়ার হোসেন খোকন জানান, আজকের সমাবেশ হবে জেলা বিএনপির স্মরণকালের সবচেয়ে বড় মহাসমাবেশ। বিএনপির নেতারা আশা করছেন, আজ পাঁচ থেকে ছয় লাখ নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ এ সমাবেশে অংশ নেবেন।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এবং সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের স্ত্রী আরিফা জেসমিনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
জাকির হোসেন ও আরিফা জেসমিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পৃথক দুটি আবেদন করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম।
জাকির হোসেনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২১ জানুয়ারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ অবস্থায় জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া একান্ত জরুরি।
আরিফা জামানের আবেদনে বলা হয়, বিগত সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার এমপিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধানের পর আরিফা জেসমিনের বিরুদ্ধে দুদক ১২ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আরিফা জেসমিনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করা একান্ত জরুরি।
বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ৩৪তম ব্যাচের সভাপতি হয়েছেন রূপগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জয়। আর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. উজ্জ্বল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এছাড়া কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল।
আজ শনিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) মিলনায়তনে এক জরুরি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়।
অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (৩৪তম ব্যাচ) এক জরুরি বিশেষ সভা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ব্যাচের নতুন কমিটি গঠনসংক্রান্ত আলোচনা শেষে ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচনের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
নব-নির্বাচিত কমিটি আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে প্রকাশ করবেন বলেও এতে জানানো হয়েছে।
সরকার ইতোমধ্যে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে একটি হেল্পডেস্ক চালু করেছে। সেটির কার্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। একটি ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার চালু রয়েছে। সহিংসতামূলক কার্যক্রমের তদন্ত ও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নারী পুলিশদের সমন্বয়ে একটি প্রকল্প চালু করেছে।
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নারীদের শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি দেশের নারীদের অনেক সময় শান্তি প্রতিষ্ঠা প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সামাজিক ও কাঠামোগত পরিবর্তন জরুরি। এ লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত ‘নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক এজেন্ডার স্থানীয়করণ’ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তারা।
গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অব উইমেন পিস বিল্ডার্সের (জিএনডব্লিউপি) সহযোগিতায় আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিএনপিএস’র পরিচালক শাহনাজ সুমী।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন কানাডিয়ান হাইকমিশন অব বাংলাদেশের সেকেন্ড সেক্রেটারি স্টিফেন এস ব্রাসসার্ড, জিএনডব্লিউপির ঊর্ধ্বতন কর্মসূচি পরিচালক জেসমিন নারিয়ো গ্যালাস, ইউএন উইমেন বাংলাদেশের এনালিস্ট তানিয়া শারমিন, বাংলাদেশ পুলিশ নারী নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক শাহালা পারভিন পিপিএম, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নানা ধরনের সামাজিক ও রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে দেশের নারীরা বিশেষ পরিস্থিতির মুখে পড়ছে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে সাইবার সহিংসতা বেড়েছে। ১৮ থেকে ২৩ বছর বয়সী নারীরা বেশি সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। এই অবস্থায় নারীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে বহুমুখী উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে দাতা সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।
এ সময় পুলিশ নারী নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক শাহালা পারভিন জানান, গণঅভ্যুত্থানের পর পুলিশদের জন্য মানবাধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ চালু করা হয়েছে। এছাড়া, পুলিশ বিভাগে নারীদের নেতৃত্বস্থানীয় পদে আনার জন্য ইতোমধ্যে ৬টি জেলায় ৬ জন নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে পুলিশ সুপার পদে এবং ২ জনকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পদে পদায়ন করা হয়েছে। রোহিঙ্গা নারীদের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নারী পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে, যারা ক্যাম্পে বিভিন্ন ধরনের অভিযান পরিচালনা করছেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, সরকার ইতোমধ্যে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে একটি হেল্পডেস্ক চালু করেছে। সেটির কার্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। একটি ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার চালু রয়েছে। সহিংসতামূলক কার্যক্রমের তদন্ত ও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নারী পুলিশদের সমন্বয়ে একটি প্রকল্প চালু করেছে। এছাড়া ২০২০ সালে সাইবার জগতে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে একটি সাইবার ইউনিটও চালু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিএনপিএস নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে ১৯৮৬ সাল থেকে তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে কাজ করে আসছে। অন্যান্য কাজের পাশাপাশি সংস্থাটি ২০১৭ সাল থেকে নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা ইস্যুতে দেশের নারী সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সঙ্গে কাজ করছে।
আমাদের যে অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানটি হয়েছে, সেখানে কর্পোরেট হাউজ হিসেবে পাঠাও এর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। আমি অগ্রযাত্রার অগ্রদূত বইটি পড়ছিলাম। স্টোরিগুলো খুবই ভালো।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম পাঠাও। অগ্রযাত্রার ১০ম বছরে পদার্পণ করছে প্ল্যাটফর্মটি। এ উপলক্ষ্যে একুশে বইমেলায় ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ নামে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) একুশে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং পাঠাও-এর সিইও ফাহিম আহমেদ এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা।
‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইটি প্রকাশিত হয়েছে স্বনামধন্য প্রকাশনী সংস্থা স্টুডেন্ট ওয়েজে।
দশ বছরের পথচলায়, পাঠাও-এর সঙ্গে অনেকের জীবনেই তৈরি হয়েছে দারুণ কিছু গল্প। কখনো ফুডম্যান কিংবা রেস্টুরেন্টকে কেন্দ্র করে, কখনো আবার একজন ব্যবসায়ী এবং একজন ডেলিভারি এজেন্টকে কেন্দ্র করে। এতসব গল্পের ভিড়েও থেকে যায় কিছু এগিয়ে যাওয়ার, ভিন্ন কিছু করার, সবার সামনে একটি উদাহরণ তৈরি করার মতো গল্প। পাঠাও-এর সঙ্গে যারা কাজ করছেন, এই প্ল্যাটফর্ম থেকে তারাও প্রতিনিয়ত তৈরি করছেন দারুণ কিছু বলার মতো গল্প।
মোড়ক উন্মোচন শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আমাদের যে অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানটি হয়েছে, সেখানে কর্পোরেট হাউজ হিসেবে পাঠাও এর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। আমি অগ্রযাত্রার অগ্রদূত বইটি পড়ছিলাম। স্টোরিগুলো খুবই ভালো।
পাঠাও-এর সিইও ফাহিম আহমেদ বলেন, পাঠাও এ বছর দশ বছরে পদার্পণ করছে। আমরা আমাদের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সারা দেশব্যাপী ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিচ্ছি। পাঠাও-এর গল্প শুধু পাঠাও-এর গল্প বা শুধু সেবার গল্প না। পাঠাও-এর গল্প হলো আমাদের সঙ্গে যুক্ত সব মানুষ, যারা সেবা গ্রহণ করছে এবং সেই সঙ্গে সেবা প্রদান করার মাধ্যমে জীবনকে এগিয়ে নিচ্ছে এবং জীবনের মানকে উন্নত করছে, তাদের কথা। ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’-এর গল্পগুলো হলো পাঠাও-এর সঙ্গে আমরা যারা যুক্ত আছি, তাদের সবার গল্প।’
যারা গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে তারাই নতুন বাংলাদেশের নেতৃত্বের সামনের সারিতে থাকবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ ক্ষমতা অপব্যবহারের চেষ্টা করলে দেশে আরেকটা গণবিপ্লব হবে। আগামী নির্বাচন হতে হবে ৫৩ বছরের ইতিহাসে সম্পূর্ণরূপে নিরপেক্ষ।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্ট অডিটোরিয়ামে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সোনারগাঁও উপজেলা আয়োজিত ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ক্যাম্পেইনে তিনি এসব কথা বলেন।
ফেব্রুয়ারি মাসেই দেশে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা হবে জানিয়ে সারজিস বলেন, যদি সুষ্ঠু নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দল ৩০০ আসনও পায় এতে আমরা কিছু মনে করবো না। যারা গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে তারাই নতুন বাংলাদেশের নেতৃত্বের সামনের সারিতে থাকবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্টবিরোধী ছাত্রদের যে নতুন রাজনৈতিক দল হবে, সেই দলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
সারজিস আলম বলেন, খুনি হাসিনা লেজ গুটিয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে। সে শুধু নিজের মুখেই না, দলের নেতাকর্মীদের মুখেও চুনকালি মাখিয়েছে। সেটা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন।
বিজ্ঞাপন
এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য তুহিন মাহামুদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জের যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল সাইফুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক জাহিদুল হক বাঁধন, সদস্য অনিক খাঁন সিয়ামসহ জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন স্থানীয় নেতাকর্মী, শহীদ পরিবার ও আহতরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিট বন্ধ হবে না। ৩৬৫ দিনই লোকজন দিতে পারবে। নির্ধারিত সময়ের যারা ট্যাক্স রিটার্ন দেবেন, তাদের ট্যাক্স ক্যালকুলেশন এক রকম হবে, আর পরে যারা দেবেন তাদের অটোমেটিক্যালি অতিরিক্ত জরিমানা চলে আসবে।
১৪ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন। আয়কর রিটার্ন দাখিল করার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও বছরজুড়ে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলন, ইতোমধ্যে এবছর ১৪ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন এবং ১8 লাখের বেশি করদাতা ই-রিটার্নের জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন।
তিনি বলেন, আয়কর দিবস পরবর্তী সময়েও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সেবাটি বছরব্যাপী চালু রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আয়কর দিবস পরবর্তী সময়ে রিটার্ন দাখিল করলে আয়কর আইন, ২০২৩ এর ৭৬ ধারা অনুযায়ী বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত এবং কোনোরূপ কর অব্যাহতি পাবেন না।
এছাড়া, কর দিবসে যে পরিমাণ কর অপরিশোধিত থাকবে তার ওপর আয়কর আইন, ২০২৩ এর ১৭৪ ধারা অনুযায়ী মাসিক ২ শতাংশ হারে (সর্বোচ্চ ২৪ মাস) অতিরিক্ত কর আরোপ করা হবে।
আজ ছিল আয়কর রিটার্ন দাখিল করার শেষ দিন। তিন দফায় সময় বৃদ্ধি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঘোষণা অনুযায়ী রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় শেষ দিন ১৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, সারাবছর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে। অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিট বন্ধ হবে না। ৩৬৫ দিনই লোকজন দিতে পারবে। নির্ধারিত সময়ের যারা ট্যাক্স রিটার্ন দেবেন, তাদের ট্যাক্স ক্যালকুলেশন এক রকম হবে, আর পরে যারা দেবেন তাদের অটোমেটিক্যালি অতিরিক্ত জরিমানা চলে আসবে। সেটা ধার্যকৃত ট্যাক্সের ওপর প্রতি মাসে ২ শতাংশ। ম্যাক্সিমাম সিলিং ২৪ মাস। আমরা ৪৮ শতাংশের বেশি কারো কাছ থেকে ইন্টারেস্ট নেব না।
গত ৩০ জানুয়ারি আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় তৃতীয় দফায় বৃদ্ধি করে ১৬ ফেব্রুয়ারি করা হয়। একই পৃথক আদেশে কোম্পানি করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের সময় ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বৃদ্ধি করে ১৬ মার্চ করা হয়।
এর আগে রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী, ২০২৪-২০২৫ করবর্ষের জন্য কোম্পানি ব্যতীত সব শ্রেণির করদাতার আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর। গত আগস্ট মাসের পরবর্তীতে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দুই দফায় সময় বাড়ানো হয়েছিল।
এ বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিশেষ আদেশের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে অবস্থিত সব সরকারি কর্মচারী, সারাদেশের সব তফসিলি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, সব মোবাইল টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মী এবং বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত কর্মরতদের আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়।
দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসকদের সজাগ থাকার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস । একই সঙ্গে তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে ৩ দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসকদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, এ সরকারের আমলে কারো রক্তচক্ষু বা ধমকের কারণে কোনো কাজ করার প্রয়োজন নেই। কারো ধমক শুনবেন না।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নিজের মতো করে যেটা আইন, যেটা দেশের জন্য করা দরকার, সেটা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আইন করে দিয়েছি, কিন্তু গ্রামে-গঞ্জে পৌঁছায়নি। অথচ আমরা এখানে সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে আছি। এই যে দূরত্ব এটা যেন না থাকে। বিনা কারণে মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। হয়রানি করাটাই যেন আমাদের ধর্ম। সরকার মানেই মানুষকে হয়রানি করা, এটাকে উল্টে দিতে হবে। সরকার ভিন্ন জিনিস। আপনার অধিকার পৌঁছে দেওয়াই আমাদের কাজ।
দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসকদের সজাগ থাকার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস । একই সঙ্গে তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে ৩ দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসকদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, এ সরকারের আমলে কারো রক্তচক্ষু বা ধমকের কারণে কোনো কাজ করার প্রয়োজন নেই। কারো ধমক শুনবেন না।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নিজের মতো করে যেটা আইন, যেটা দেশের জন্য করা দরকার, সেটা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আইন করে দিয়েছি, কিন্তু গ্রামে-গঞ্জে পৌঁছায়নি। অথচ আমরা এখানে সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে আছি। এই যে দূরত্ব এটা যেন না থাকে। বিনা কারণে মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। হয়রানি করাটাই যেন আমাদের ধর্ম। সরকার মানেই মানুষকে হয়রানি করা, এটাকে উল্টে দিতে হবে। সরকার ভিন্ন জিনিস। আপনার অধিকার পৌঁছে দেওয়াই আমাদের কাজ।
রোববার (১৬ ই ফেব্রুয়ারী ) সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সিএনজি চালকদের অবরোধের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। মিটারের মামলা ইস্যুতে সিএনজি চালকরা সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বাধা দিচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, অবরোধের কারণে রাজধানীজুড়ে প্রচণ্ড যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অনেকেই গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি করছেন।
চালকরা নতুন নিয়ম বাতিল, ভাড়া বৃদ্ধি ও পুলিশের হয়রানি বন্ধসহ একাধিক দাবি জানাচ্ছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সড়ক অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, মিটারের ভাড়া বৃদ্ধি এবং মিটারে না চললে জরিমানার আইন বাতিল করতে হবে। বিআরটিএ এ সিদ্ধান্ত বাতিল না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।
এদিকে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উপস্থিত রয়েছেন। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চালকদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
রামপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান আকন্দ বলেন, সকাল ৯টার পর থেকে রামপুরা এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে সিএনজি চালকরা। তাদের রাস্তা অবরোধের কারণে রামপুরা এলাকায় যান চলাচল ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আমরা তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করছি তারা যেন এই সকালের সময়ে রাস্তা অবরোধ ছেড়ে দেয়।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি মিটারের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করলে চালকদের জরিমানা বা কারাদণ্ডের নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ৩৫(৩) ধারা অনুযায়ী রুট পারমিটপ্রাপ্ত অটোরিকশাগুলো যেকোনও গন্তব্যে যাত্রী নিতে বাধ্য। চালকরা মিটারের চেয়ে বেশি ভাড়া দাবি বা আদায় করতে পারবেন না। যদি কেউ এই নিয়ম লঙ্ঘন করেন, তাহলে আইনের ৮১ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, ছয় মাসের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। এ ছাড়া চালকের লাইসেন্স থেকে এক পয়েন্ট কেটে নেওয়ার বিধান রয়েছে।
বিআরটিএ’র তথ্য বলছে, বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় নিবন্ধিত অটোরিকশা রয়েছে ২০ হাজার ৮৯৪টি। আর ২০১৫ থেকে ২০২৪ সালের (১০ বছর) মধ্যে সবচেয়ে বেশি অটোরিকশা নিবন্ধন পেয়েছে ২০১৯ সালে। সে বছর নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে ৬ হাজার ৮৩৯টি অটোরিকশা। তার আগের বছর ২০১৮ সালে ৫ হাজার ৬৩৭টি অটোরিকশা নিবন্ধন দেওয়া হয়।
আলাপ-আলোচনা করে, একটি বোঝাপড়া তৈরি করে যে প্রশ্নে আমরা ঐকমত্য হতে পারব সেই ভিত্তিতে প্রফেসর আলী রিয়াজ চেষ্টা করবেন একটি জাতীয় সনদ তৈরি করার।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়ভিত্তিক কোনো আলোচনা হবে না। বলতে পারেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এটি উদ্বোধন। যেটা আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় নেতারা আছেন। তারা সবাই বলেছেন, এ সরকারের প্রতি রাজনৈতিক দলের যেমন সমর্থন রয়েছে, তেমনি জনগণের বিপুল সমর্থন রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশাল সমর্থন আছে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক থেকে বের হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সাইফুল হক বলেন, ছয়টা কমিশন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সুপারিশ তৈরি করেছেন একটা রাষ্ট্র, সরকার, সংবিধানের গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য। এ সুপারিশের কপি নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবে। জোটগুলোর সঙ্গে কথা বলবে। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলবেন, এমনকি অনানুষ্ঠানিকভাবেও কথা বলবেন।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা পরিষ্কারভাবে বলেছেন কোনো প্রস্তাবনা ঐকমত্য কমিশনের ভিত্তিতে বা সরকারের ভিত্তিতে চাপিয়ে দেওয়ার কোনো মনোভাব তাদের নেই। আলাপ-আলোচনা করে, একটি বোঝাপড়া তৈরি করে যে প্রশ্নে আমরা ঐকমত্য হতে পারব সেই ভিত্তিতে প্রফেসর আলী রিয়াজ চেষ্টা করবেন একটি জাতীয় সনদ তৈরি করার। জাতীয় সনদের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে জাতীয় নির্বাচন বা সংবিধান সংস্কার প্রশ্নে আলোচনা হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আরেকটা বিষয় প্রফেসর ইউনূস পরিষ্কার করে বলেছেন আজ, ভারত তাদের বাংলাদেশবিরোধী নীতিকে একটা বিপর্যয়ে ফেলেছে। সর্বশেষ ট্রাম্পের কাছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী দৌড়ঝাঁপ করেছেন। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে তার কোনো নালিশ ট্রাম্প প্রশাসন আমলে নেয়নি।
তারা এ ত্যাগ না করলে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকলেও জবাব খোঁজার কোনো সুযোগ থাকতো না। প্রশ্ন আমাদের মনে যতটুকু ছিল, বহু বছর ধরে ছিল, কিন্তু প্রশ্ন করার সুযোগ পাইনি।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকের প্রারম্ভিক বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি বলেন, ‘প্রতিজ্ঞা করি আমরা যেন গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের প্রতি অসম্মান না জানাই। যে কারণে তারা আত্মত্যাগ করেছিল সেটা যেন পরবর্তী সব প্রজন্ম মনে রাখে, তাদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে। তাদের আত্মত্যাগকে সার্থক করার জন্য আমরা সবাই মিলে সবরকম চেষ্টা করব, যেন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারি।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা এ ত্যাগ না করলে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকলেও জবাব খোঁজার কোনো সুযোগ থাকতো না। প্রশ্ন আমাদের মনে যতটুকু ছিল, বহু বছর ধরে ছিল, কিন্তু প্রশ্ন করার সুযোগ পাইনি। অসংখ্য ছাত্র-জনতা আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা সেই সুযোগ পেয়েছি।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশকে পুনর্গঠন এবং তারপর আমরা যে রাজনৈতিক সমাধানে যাচ্ছি, কীভাবে আমাদের ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনটা হবে তার জন্য আজকে রাজনৈতিক সংলাপের সূচনা। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের সূচনা।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির সামনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রেস সচিব। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা এসে পৌঁছেছেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস— এমনটি জানিয়ে তিনি বলেন, ছয় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে যে সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে, আমাদের আশা থাকবে সব রাজনৈতিক দল এটাতে স্বাক্ষর করবে। সেটা হবে জুলাই চার্টার।
শফিকুল আলম আরোও বলেন, জুলাই চার্টারের ওপর নির্ভর করবে আমাদের নির্বাচনটা কবে হবে। কারণ এরই মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন—‘ডিসেম্বরে মধ্যে নির্বাচন হতে পারে’। সেক্ষেত্রে আমরা হয়তো কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে পারব। এরপর যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসবে তারা বাকিটা বাস্তবায়ন করবে।
সংস্কার কমিশনের অনেক সুপারিশ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মনে করেন প্রেস সচিব। তিনি বলেন, আর যেসব ক্ষেত্রে প্রধান ঐকমত্য প্রয়োজন সেটার জন্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে।
এদিকে বৈঠকে অংশ নিতে দুপুর ২টার পর থেকেই ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আসছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নিয়েছে। এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হালদার, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, গণ ফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতারা এসেছেন।