ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে হামলা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছিলেন, “শেখ হাসিনা যদি কোনো বক্তব্য দেন, তবে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।” এদিকে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে হামলা চলাকালে, উপস্থিত বিক্ষুব্ধ জনতা বাড়ির সুরক্ষিত অংশগুলো ভাঙতে থাকে এবং তাদের শোরগোল ও স্লোগান আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত অনলাইন ভাষণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক অঙ্গনে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে, ছাত্র-জনতার এক বিশাল মিছিল ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির দিকে এগিয়ে যায় এবং সেখানে প্রবেশ করে তারা ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুরো এলাকা তখন লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। মিছিলকারীরা বাড়ির দেয়াল ও গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং ভাঙচুর শুরু করে। কেউ আবার ছাদে উঠে উল্লাস করতে থাকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিক্ষোভকারীদের ভাঙচুরের ভিডিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, বেশিরভাগ বিক্ষোভকারী তরুণ বয়সী। তারা জানালার কাঠ ভেঙে ফেলছে, আবার কেউ কিছুটা শক্তিশালী কাঠ দিয়ে জানালা ও দরজা ভেঙে ফেলছে। একে একে ভাঙচুর করা ভবনের বিভিন্ন অংশের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাঙচুরে অংশগ্রহণকারীরা ভেঙে যাওয়া অংশে উল্লাস করছিলেন।
হামলার সময়, বাইরে থাকা কিছু বিক্ষোভকারী দেয়ালের উপরের কাটাতাঁর খুলে ফেলার চেষ্টা করছিলেন। এছাড়া, কিছু লোক বাইরে মিছিল নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাদের স্লোগান ছিল শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি। স্লোগানে তারা পরিষ্কারভাবে সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন।
এর আগে, শেখ হাসিনার অনলাইন ভাষণকে কেন্দ্র করে কিছু বিক্ষোভকারী একটি ‘বুলডোজার মিছিল’-এর পরিকল্পনা করেছিলেন, যা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে পৌঁছে শেষ পর্যন্ত এই হামলা ও ভাঙচুরে রূপ নেয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছিলেন, “শেখ হাসিনা যদি কোনো বক্তব্য দেন, তবে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।”
এদিকে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে হামলা চলাকালে, উপস্থিত বিক্ষুব্ধ জনতা বাড়ির সুরক্ষিত অংশগুলো ভাঙতে থাকে এবং তাদের শোরগোল ও স্লোগান আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
এএসএস