জমজমাট আয়োজনে শেষ হলো নবেল স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

জমজমাট আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে রাজধানীর আফতাবনগরের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ নবেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) স্কুলটির নিজস্ব ক্যাম্পাসের খেলার মাঠে এ আয়োজন করা হয়৷ এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি সরদার নূরুল আমিন৷
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নূরুল আমিন বলেন, আমি আশা করি এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা পাস করে বিশ্বমানের শিক্ষায় শিক্ষিত হবে৷
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এমন কিছু করো যাতে দেশের সেরা শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে পারো৷ বড় হতে হলে অবশ্যই তোমাদের ডিসিপ্লিনের মধ্যে আসতে হবে৷ সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজের, পরিবারের এবং সমগ্র জাতির জন্য কাজ করবে৷
শিক্ষকদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, বাচ্চাদের দুর্বলতাগুলোকে আবিষ্কার করে সেগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে৷ কোনো বাচ্চা কিছু বুঝতে অসমর্থ হলে তাকে পরম স্নেহে শিখাতে হবে৷ ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বেসিক পড়াশোনায় যদি শক্ত ভিত্তি না হয় তাহলে কর্মক্ষেত্রে তারা ভালো করতে পারবে না৷
তিনি বলেন, স্কুলটি শুরুই হয়েছিল কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিত করতে৷ বাণিজ্যিক চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে নবেল স্কুল শুরু থেকেই কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিত করছে৷ আমি আশা করি আগামীতে এই ধারাবাহিকতা আরও সমৃদ্ধ হবে৷
নবেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও আফতাবনগর জহুরুল ইসলাম সিটি সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ঢালী বলেন, শিক্ষা, খেলাধুলা এবং সংস্কৃতি একে অপরের পরিপূরক। ক্রীড়া, শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটে। যার ফলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে।
তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে দেশ ও জাতীয় চেতনার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে তাদের পরিপূর্ণভাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। আমাদের তরুণরা খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চায় উৎকর্ষতা অর্জনের মাধ্যমেই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয় অর্জন করবে।
সকালে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের পর জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। মার্চ পাস্টের পর বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ইভেন্টের মধ্যে ছিল, চকলেট দৌড়, ব্যাঙ দৌড়, রিলে দৌড়, যেমন খুশি তেমন সাজো, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, অতিথি ও অভিভাবকদের জন্য দৌড় ও পিলো পাসিং প্রভৃতি।
সাংস্কৃতিক পর্বে অনুষ্ঠিত হয় নাচ, গান, ফ্যাশন-শোসহ বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের আকর্ষণীয় উপহার, ক্রেস্ট, মেডেল ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
ডিআর