প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান
.jpg)
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালনার ক্ষেত্রে নাগরিকের ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, যে এআই এর প্রয়োগ বৈশ্বিকভাবে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম বিধায় এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে একটি সম্মিলিত নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত সামিটে প্রধান বিচারপতি ড. বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ কি-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন। তিনি তার বক্তব্যে আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার বিষয়ে এবং বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো তৈরিতে রেগুলেটরি ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট এবং বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিশদ আলোকপাত করেন।
অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সংযুক্ত আরব আমিরাত মন্ত্রিসভার সদস্য মরিয়াম আল হাম্মাদি। অধিবেশনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা, আইনজ্ঞ ও বুদ্ধিজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বিচারপতি তার বক্তব্যে দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অভিযোজনসক্ষম আধুনিক আইনি কাঠামো তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি উল্লেখ করেন আধুনিক বিশ্বে এআই স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, অর্থনীতি এবং প্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এআই এর ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নৈতিক ও আইনি চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা মোকাবিলায় আমাদের নতুন করে প্রস্তুত হতে হবে।
তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালনার ক্ষেত্রে নাগরিকের ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, যে এআই এর প্রয়োগ বৈশ্বিকভাবে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম বিধায় এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে একটি সম্মিলিত নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি প্রয়োজন। তাই তিনি এ বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নীতিনির্ধারক ও নেতাদের সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি রেগুলেটরি ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট প্রণয়নের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সময়ের আবর্তে প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যেন তা সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় সে বিষয়ে বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিশেষভাবে তিনি উল্লেখ করেন যে এআই কিংবা এরূপ অন্য কোনো আধুনিক প্রযুক্তির জটিলতা মোকাবিলায় এককভাবে কোনো নির্দিষ্ট দেশীয় আইনি কাঠামো যথেষ্ট নয়। এ প্রসঙ্গে তিনি সিভিল এবং কমন ল’ ফ্রেমওয়ার্কের সমন্বয়ে অভিযোজনযোগ্য আধুনিক আইনি কাঠামো গঠনের জন্য বিশ্বের আইনজ্ঞ ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এআইয়ের জন্য আধুনিক নিয়ন্ত্রণ কাঠামো শুধুমাত্র বর্তমান প্রজন্মের জন্য প্রয়োজনীয় নয়। বরং এরূপ নিয়ন্ত্রণ কাঠামো ভবিষ্যত প্রজন্মের কল্যাণও নিশ্চিত করবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ডিজিটাল যুগের জটিলতা মোকাবিলা করে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সুবিধা গ্রহণ করতে পারলে ভবিষ্যতের বিচার ব্যবস্থাও আরও সুদৃঢ় হবে। এ লক্ষ্যে প্রধান বিচারপতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, আইন বিশেষজ্ঞ এবং প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
এএসএস