জয়ের নেশায় মত্ত নিগাররা
ফেভারিটের প্রশ্নে বাংলাদেশের অধিনায়ক নিজেদেরকেই এগিয়ে রাখছেন, ‘অবশ্যই বাংলাদেশকে ফেভারিট মনে করি। কারণ শেষ ম্যাচটায় আমাদের জয় আছে। এটা সংস্করণ বদল হোক বা যাই হোক, আমি আমাদেরই এগিয়ে রাখবো।’
টি-টোয়েন্টির চেয়ে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ বেশ ভালো দল। বাংলাদেশের অধিনায়ক তেমনটাই দাবি করছেন, ‘আমরা এই সংস্করণটা ভালো খেলি। দল হিসেবে আমরা বেশি আত্মবিশ্বাসীও থাকি। কারণ সময়টা বেশি পাওয়া যায়। হিসেব কষে খেলা যায়। আর আমাদের যেহেতু লম্বা একটা ব্যাটিং লাইন-আপ আছে, সবাই সময় নিতে পছন্দ করে, থিতু হয়ে খেলতে পছন্দ করে। ইতিবাচক ক্রিকেট খেলার মনোভাবই আমাদের সবার থাকবে।’
বাংলাদেশের অধিনায়ক পুরো দলের ভেতর ইতিবাচক মানসিকতা ছড়িয়ে দিতে চান। দলকে পরবর্তী ধাপে নেওয়ার জন্য এর বিকল্প দেখেন না তিনি, ‘প্রথমত, অধিনায়ক হিসেবে আমার ইচ্ছা হলো ইতিবাচক ক্রিকেট খেলার। আমরা যে পরবর্তী ধাপ নিয়ে চিন্তা করছি বা যার জন্য ক্রিকেট বোর্ডের আমাদের ওপর এত বিনিয়োগ বা আমাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা যা চেয়েছি, তার চেয়েও বেশি পাচ্ছি। তো সেটার একটা প্রতিদান দেওয়ার সময় এসেছে।’
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ৯৫ রানে অলআউট করে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেও হারতে হয়েছিল। শেষ ম্যাচে ১০২ রানে প্রতিপক্ষকে থামিয়ে জয়ের নিশানা উড়ায় স্বাগতিক মেয়েরা। এমন জয়ের পর আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের অধিনায়ক, ‘প্রথমত ঘরের মাঠে খেলা আর শেষ ম্যাচটা জেতায় পুরো দলই খুব ইতিবাচক হয়ে আছে। সবাই অনেক বেশি উজ্জীবিত অবস্থায় আছে। সব কিছু মিলে আমার মনে হয়, অবশ্যই নির্দিষ্ট দিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি কালকে ভুল কম করি, পরিকল্পনা অনুযায়ী যদি প্রয়োগ করতে পারি তাহলে জয় আসবে।’
নিগার আরও বলেছেন, ‘ছোট ছোট যে বিষয়গুলো আমরা ভুল করছি সবসময়, কোচিং স্টাফরা সেসব নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলছেন, অনুশীলনেও এসব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। দেখা যায়, জুটি গড়ার ক্ষেত্রে একটা ঘাটতি থাকে। সেটা নিয়ে কথা বলছি আমরা। এই জিনিসগুলো যদি ১০-১৫ ভাগ উন্নতি করতে পারি, আমার মনে হয় ভালো ক্রিকেটটাই আমরা খেলবো।’
তবে ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে ফর্মে থাকা ক্রিকেটারদের দায়িত্ব নেওয়ার আহবান জানালেন নিগার, ‘যারা ভালো ছন্দে আছে, তাদের কিন্তু দায়িত্বটা বেশি। আমি এটা অনুভব করি। আমি বলবো যে, ব্যক্তিগতভাবে কিন্তু সবার ব্যাটে-বলে সংযোগ হয় না বা প্রতিদিন সবাই রান করবে না। কিন্তু যেদিন যে ভালো একটা ছন্দ পাবে, সে যদি এগিয়ে নিতে পারে, লম্বা একটা ইনিংস খেলতে পারে, দলের জন্য অনেক বেশি ভালো হবে।’
কেএইচ