যশোরে একটি সরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ----- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠি ইউজিসিতে

২ ডিসেম্বর ২০২৫ বিকাল তিনটায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দপ্তরে যশোর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন পরিষদের নেতৃবৃন্দ শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডক্টর চৌধুরী রফিকুল আবরার এর সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফজলুর রহমান, যশোর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তুবান পরিষদের নেতা বিমল রায়, প্রিন্সিপাল মুস্তাক হোসেন, মোঃ হাসান, আশরাফ হোসেন, ঢাকা পোস্ট এর রিপোর্টার মুসা মল্লিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ধুমকেতু সম্পাদক মোহাম্মদ আবু তোহা। যশোর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন পরিষদের নেতৃবৃন্দ শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয় কে অবগত করেন যে যশোর একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীন জেলা হিসেবে স্বীকৃত। বাংলাদেশের ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যে সবজি সরবরাহ করা হয় তার অধিকাংশই যশোর জেলা থেকে উৎপাদন করা হয়। বলা যায় যশোর জেলা সবজি চাষের রাজধানী। এদিকে বাংলাদেশের বড় বড় মৎস্য চাষের বাওড় যশোরে অবস্থিত যেমন ঝাপা বাওড় সাতশ একর, এ ধরনের শত শত একরের বাওড় যশোরে বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত। যশোর জেলায় চাচড়া এলাকায় গড়ে উঠেছে শতশত রেনু পোনা মাছের খামার। সারা বাংলাদেশের অধিকাংশ রেনুপোনা যশোর থেকে সরবরাহ করা হয়। রাজধানী ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ফুল আসে যশোরের গদখালী থেকে সে হিসেবে যশোরের গদখালী কে ফুলের রাজধানী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। যশোরের চৌগাছা উপজেলার জগদীশপুর গ্রামে রয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ তুলা গবেষণা কেন্দ্র এছাড়া যশোরের খয়ের তলাতে রয়েছে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র ও হর্টিকালচার সেন্টার। কিন্তু এতকিছু থাকা সত্ত্বেও কৃষি ও মৎস্য সহ কৃষি সেক্টরের উন্নয়নে উচ্চ কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় কৃষিভিত্তিক গবেষণা থমকে গেছে এই কারণে দীর্ঘদিন ধরে যশোরবাসী যশোরে একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছেন। যশোর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন পরিষদের নেতৃবৃন্দের এ সমস্ত বক্তব্যের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয় তিনি বলেন যশোরে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে কৃষিভিত্তিক গবেষণার দ্বার উন্মোচন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এদিকে গত ৩০ নভেম্বর ২০২৫ যশোরে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রেরণ করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর একটি পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।




